শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পেট্রোল ঢেলে পোড়ানো হয়েছে শিক্ষিকার বসতবাড়ি

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:১৭

নড়াইল সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনের বসতঘরে রাতের অন্ধকারে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের একাধিক মাদক মামলার আসামি মিজানুর রহমান মিয়ার ছেলে রাসেল সম্প্রতি একটি কনসার্ট অনুষ্ঠানের জন্য স্কুলের বেঞ্চ নিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুদিন ধরে তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে রামদা নিয়ে বাড়ির ওপর এসে শাসিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহ ধরে ফেসবুকে স্কুলের পড়াশোনা ও ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচারও চালিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এ সকল ঘটনার ধারাবাহিকতায় বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাসেলসহ কয়েকজন এসে পেট্রোল ঢেলে আমাদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আমি, আমার  বৃদ্ধা মা, দুই বোন তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বেচে যাই। 

কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি জানান, আগুনে একটি মোটরসাইকেল ও একটি বাইসাইকেল, ঘরের যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে নড়াইল থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ লক্ষাধিক টাকা বলে তিনি দাবি করেন।

তবে অভিযুক্ত রাসেল মিয়া দাবি করে বলেন, ‘ফরিদা আপা আমাদের স্কুলের শিক্ষিকা। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে একটু ঝামেলা চলছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একটি পক্ষ নিয়ে তেমন কাউকে না ডেকেই কমিটি গঠন করেছে। আমার অপরাধ আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং ফেসবুকে তা নিয়ে লেখালেখি করেছি। আমি মূলত এলাকার পলিটিক্সের শিকার। ঘটনার সময় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এসব বিষয়ে কিছুই জানি না।’ 

নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন পিপিএম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।

ইত্তেফাক/নূহু