শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বগুড়ায় ৭টি আসনে হিরো আলমসহ জামানত হারালেন ৩৪ প্রার্থী

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:১৪

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসন থেকে ৪৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোট ৪টি, বিএনপি ২টি ও বিএনপির সমর্থন নিয়ে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ৪৭ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩৪ জন।

নিয়ম অনুযায়ী একটি আসনে কোন প্রার্থী যদি প্রদত্ত মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোটও না পান তাহলে তিনি জামানত হারাবেন। এবার মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ২০ হাজার টাকা করে জমা দিতে হয়েছে।

দলগতভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৭ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ৩ প্রার্থী, ৩টি আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) ২ প্রার্থী, কমিউনিস্ট পার্টির ২ প্রার্থী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২ জন, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ২ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন: সীতাকুণ্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহত

এর পাশাপাশি বিভিন্ন আসনে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, জাকের পার্টি ও তরিকত ফেডারেশনের থেকে যে একজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাদেরও সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। দলীয় প্রার্থী ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে যে ৯জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে দু’জন ছাড়া ৭জনই তাদের জামানত খুইয়েছেন।

যারা জামানত হারিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী ও বগুড়া-১ আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী রফিকুল ইসলাম।  জামায়াত খোয়ানে হিরো আলম ভোট পেয়েছেন মাত্র ৬৩৮টি। তবে ওই আসনে পরাজিত ৬ প্রার্থীর মধ্যে হিরো আলমই চতুর্থ সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইদ্রিস আলী।

বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ জানিয়েছেন, নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা যদি প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টাংশ ভোট না পান তাহলে নিয়ম অনুযায়ী জামানত হারাবেন। তারা কেউই জামানত হিসেবে দেওয়া ২০ হাজার টাকা আর ফেরত পাবেন না।

ইত্তেফাক/বিএএফ