শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কোটালীপাড়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৫

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বিবাদমান দুইদল গ্রামবাসীর একপক্ষ হামলা চালিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ প্রতিপক্ষের ১২টি বাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সময় হামলাকারীরা লুটপাট ও মহিলাদের শ্লীলতাহানী করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ হিরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ হিরণ গ্রামে ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম ফয়জর নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হন। এ ঘটনায় ১জানুয়ারি নিহত রফিকুল ইসলাম ফয়জরের স্ত্রী মিনা বেগম বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে বাদীপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিবাদীপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আত্মীয় স্বজনদের ওপর হামলা করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার দুপুরে জুম্মা নামাজের পর ফয়জরের আত্মীয়-স্বজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাবেয়া খানমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সাহেবালী শেখ, হাজী সাখাওয়াত হোসেন, হাজী রইচউদ্দিন, পান্নু শেখ, রবিউল শেখ, শরাফত শেখ, জামশেদ শেখ, হায়েদার শেখ, জায়েদ শেখ, বশার শেখ, আতাউর শেখ, সোলায়মান শেখের বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে। হামলাকারীরা লুটপাট ও মহিলাদের শ্লীলতাহানী করে। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

কোটালীপাড়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর। ছবিঃ ইত্তেফাক।

মামলার আসামি পান্নু শেখের স্ত্রী রাবেয়া খানম (৩০) বলেন, ‘জুম্মা নামাজের পর নাইম, মামুন, হাসান, কামরুল ও সুফিয়ানের নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৪০জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।’

অপর আসামি আতাউর রহমানের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০) বলেন, ‘হামলাকারীরা শুধু আমাদের বাড়িঘরই ভাংচুর করেনি। তারা আমাদের টাকা পয়সা, সোনাদানা নিয়ে গেছে এবং আমাদের গায়ে হাত দিয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ ‘শপথ না নিলে জনগণের কল্যাণে কাজ করা যাবে না এমন তো নয়’

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে কোটালীপাড়া থানার এস আই সুজিত দাস বলেন, ‘হামলাকারীরা ১২টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/নূহু