বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মদনপুরে পুলিশ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৫

বন্দরের মদনপুরের চানপুরে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শনিবার রাতে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে পুলিশের এসআই মো. আলীসহ ৭ পুলিশ ও স্থানীয় মহিলাসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। সংঘর্ষের সময় এলাকাবাসী পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর করে। 

এ বিষয়ে কর্তব্যরত ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কুতুবুল আলমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর অত্র ফাড়ির অন্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,  শনিবার রাতে ওয়ারেন্টভূক্ত বিভিন্ন মামলার আসামি বিশেষ করে নাশকতা মামলার আসামিদের ধরতে বন্দর থানা পুলিশ মদনপুরের চাঁনপুরে অভিযান চালায়। বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা টেঁটা, বল্লম, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা আসামি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এলাকায় ডাকাত আক্রমণ করেছে বলে তাৎক্ষণিক মসজিদের মাইকে জানিয়ে দেওয়া হলে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বিনিময় হয়। স্থানীয়রা পুলিশের ২টি গাড়ি ভাংচুর করে। এতে ঘটনাস্থলে ৭ পুলিশ সদস্য, ১জন সাংবাদিক ও স্থানীয় ১২ জনসহ ২০জন আহত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। 

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত ৩ প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক ঘন্টা পর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার পুনরায় উত্তেজনা দেখা দিলে সেখানে পুলিশ যাওয়ার পর তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ বোদায় ইট বোঝাই ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত দুই

এ ব্যপারে শনিবার রাত ৯টায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, ‘আসামি ধরতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’ তিনি পুলিশ আহত ও গুলি বর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশি তল্লাশি চলছে।’

ইত্তেফাক/নূহু