নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বুক ও পেট জোড়া লাগানো যমজ কন্যা শিশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে তাদের পরিবার। অর্থের অভাবে পৃথক করা যাচ্ছে না শিশু দুটিকে।
জানা যায়, গেল বছরের ২৯ নভেম্বর মান্দা উপজেলার ফয়সাল ক্লিনিকে ভর্তি হন ফরিদা বেগম। এদিন চিকিৎসক আব্দুস সোবহান অস্ত্রোপচার করে জোড়া লাগানো দুটি কন্যা সন্তান বের করেন। জন্মের পর থেকেই শিশু দুটির খাবার, পায়খানা, কান্নাকাটি সবই ঠিক আছে। তাদের হাত, পা ও মাথাও অন্য দশটা শিশুর মতোই স্বাভাবিক। শুধু বুক ও পেট জোড়া লাগানো।
ফরিদা বেগম উপজেলার চক কামদেবপুর গ্রামের রিকশাচালক সবুজ হোসেন সর্দারের স্ত্রী।
নওগাঁ সিভিল সার্জন মোমিনুল হক বলেন, জোড়া লাগা শিশুদের আলাদা করার ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ে কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, সেখানেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাদের আলাদা করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: ট্রাফিক আইন মেনে চলুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অর্থের সংকুলান করা গেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের দুজনকে আলাদা করা সম্ভব। কিন্তু রিকশাচালক বাবার পক্ষে এই টাকা যোগার করা অনেকটা অসম্ভব। তাই তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন।
রিকশাচালক সবুজ হোসেন সর্দার বলেন, আমি গরিব মানুষ। রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার পক্ষে এই অপারেশনের ব্যয়ভার বহন করা কঠিন। শিশু দুটির মুখের দিকে তাকিয়ে কোনও বিত্তবান ব্যক্তি যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে তারা স্বাভাবিক জীবন ফিরতে পারবে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ