স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্বামী অমিত কুমার ঢালী খুলনার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি আমলে নিয়ে অমিতের স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য থানাকে নির্দেশ দিয়ে বিবাদীদের শোকজ নোটিশও করেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লস্কর গ্রামের সাংবাদিক বিভূতি ভূষণ ঢালীর বড় ছেলে অমিত কুমার ঢালীর সাথে পারিবারিকভাবে জেলার কয়রা উপজেলার উত্তর মঠবাড়ী গ্রামের মৃত যশকান্ত সরকারের ছোট মেয়ে নুপুর সরকারের সাথে গত বছরের ৮ মে হিন্দু ধর্মীয় বিধানমতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল তাদের। পরবর্তীতে অমিত তার স্ত্রী নুপুরকে সাথে নিয়ে শ্বশুরালয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাশুড়ি, ভাইসহ বাড়ির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অমিতের সাথে ঝগড়া বিবাদ শুরু করে দেন। এক পর্যায়ে অমিত তার স্ত্রী নুপুরকে সাথে নিয়ে বাড়িতে চলে আসতে চাইলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাধা দেয়। সেইসঙ্গে তার স্ত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আটক রেখে অমিতকে পাঠিয়ে দেয়। এমনকি অমিতের স্ত্রী নুপুরকে গোপন স্থানে সরিয়ে ফেলে। স্ত্রী নুপুরকে আনার জন্য অমিত ও তার পরিবারবর্গ অমিতের শ্বশুরালয় সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। ফলে অমিত এবং তার পরিবারবর্গ অতি কষ্টে আছেন।
আরও জানা গেছে, সর্বশেষ চলতি মাসের ৯ তারিখে অমিত তার স্ত্রীকে আনার জন্য শ্বশুরালয়ে যান কিন্তু তার স্ত্রীকে আনতে ব্যর্থ হন। অমিতের বাবা সাংবাদিক বিভূতি ভূষণ ঢালী জানিয়েছেন, তিনি সহ তার ছেলে অমিত বিভিন্ন সময় নুপুরকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। নুপুরের মায়ের বাড়ির লোকজন নুপুরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে আটকিয়ে রেখেছেন। এ অবস্থায় স্ত্রীকে ফেরত পাওয়ার জন্য অমিত কুমার বাদী হয়ে নুপুরের মা চপলা সরকার, বড় ভাই জীবন সরকার, বৌদি মানষী সরকার এবং কাকা হরেকান্ত সরকারকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২০ মার্চ মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিবাদীদের শোকজ নোটিশ প্রদান করেছেন বলে মামলার আইনজীবী অ্যাড. পরিমল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন।
ইত্তেফাক/এসএস