গাংনীতে অপহরণের ৬ মাস পর সেপটিক ট্যাংক থেকে নারগিছ খাতুন (৪৫) নামে এক নারীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত লতিফ ফরাজীর স্ত্রী।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল সাহেবনগর গ্রামের আবুল বাসার (অপহরণ মামলার আসামি) নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে থেকে তার লাশ (কঙ্কাল) উদ্ধার করা হয়।
গাংনী থানার এসআই বিশ্বজিৎ জানান, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট থেকে নারগিছ খাতুন নিখোঁজ হন। পরে তার মেয়ে তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি আবুল বাসার ও তার এক সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা এখনো মেহেরপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, অপহরণ মামলার সন্দেহভাজন আসামি সাহেবনগর গ্রামের জামিরুল ইসলামের ছেলে ফরজ আলীকে শুক্রবার বিকেলে সাহেবনগর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। পরে ফরজ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সেপটিং ট্যাংকের মধ্যে নারগিছের লাশ থাকার কথা জানান।
আরো পড়ুন : খুলনায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে দুজনকে হত্যা
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, লাশ উদ্ধারের পর নিহত নারগিছ খাতুনের সৎ ছেলে সাহেবনগর গ্রামের ইয়াকুব আলীকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইয়াকুব আলীর সাথে নারগিছের জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ইত্তেফাক/ইউবি