শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাঁশের খুঁটিতে দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের বেঞ্চ

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:২১

শিক্ষার্থীদের বসা বেঞ্চগুলোকে খুঁটিতে বাঁশের সঙ্গে ইটের সমর্থন দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বেঞ্চের ওপর কাঠগুলোও অর্ধেক ভাঙা। শিক্ষকের চেয়ারটিও রয়েছে হেলানিবিহীন। ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ওই ভাঙ্গা বেঞ্চের ওপর বই-খাতা রেখে পড়াশোনা করছে। এ অবস্থায় পাঠদান চলছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। 

বর্তমান এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কোনো দয়াবান ব্যক্তি অথবা বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করে গত ১৬ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘তিলকপুর সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়’ নামে এক অ্যাকাউন্টে শ্রেণীকক্ষের ওই ভাঙাচুরা বেঞ্চের ছবিসহ পোস্ট দেওয়া হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে ৬৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর ছোট-বড় মিলিয়ে বেঞ্চ আছে মাত্র ১৫০ জোড়া। সেগুলোও ভাঙা। বেঞ্চের অভাবে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাসে বসে পড়াশুনা করতে হয়। ভাঙা কিছু বেঞ্চের ওপর শিক্ষার্থীরা বই খাতা ও বই রাখার ব্যাগ রাখতে পারে না। বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওইসব ভাঙা বেঞ্চগুলোতে জোড়াতালি দিয়ে বসার উপযোগী করে পড়াশুনা করাচ্ছেন। শিক্ষকদের চেয়ারগুলোর অবস্থাও খারাপ। 

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ‘বেঞ্চের অভাবে তাদের গাদাগাদি করে ক্লাসে বসে পড়াশুনা করতে কষ্ট হয়। এমনিতেই বসার জায়গা হয় না তার ওপর আবার বই রাখতে হয়। ভাঙ্গা বেঞ্চে কাপড় আটকে ছিড়ে যায়। কিছু ভাঙ্গা বেঞ্চে পায়া নেই। সেগুলোতে আমাদের স্যারেরা বাঁশের পায়া লাগিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে দ্রুত বেঞ্চের ব্যাবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক কমলেন্দু স্যান্যাল বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে প্রয়োজনের তুলনায় বেঞ্চের সংখ্যা অপ্রতুল। বিষয়টি উপজেলা পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কমল বলেন, স্কুলে বেঞ্চের সমস্যার কথা শুনেছি। বর্তমানে আমাদের পরিষদে কোন ফান্ড নেই। সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। পরবর্তীতে আমি বা অন্য কেউ নির্বাচিত হয়ে এলে নতুন ফান্ড থেকে স্কুলে বেঞ্চ দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুনঃ রাজাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় কলেজ ছাত্রীসহ আহত ৩

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিলকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চের সমস্যার কথা আমাকে জানানো হয়নি। তার পরেও আমি বিষয়টি দেখে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।

ইত্তেফাক/নূহু