শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ডাকাতির অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার, ৪ জন কারাগারে

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৩৭

ডাকাতির অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও অপর চারজনকে প্রচলিত মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঘটনা অনুসন্ধানে তৎপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সিআইডি পুলিশের একটি বিশেষ দল।

মাদক বিক্রেতা রফিকের বাড়িতে মাদক ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন খবর পেয়ে গত শনিবার রাতে মির্জাপুর থানার এসআই মো. সোহেল কুদ্দুছ সাদা পোষাকে কয়েকজন সোর্স নিয়ে গেরামারা গ্রামে তল্লাসি চালায়। তারা রফিকের বাড়িতে না গিয়ে ভুলক্রমে পাশের বাড়ি প্রবাসী আলমাছ আলীর বাড়িতে ঢুকে দরজা খুলতে বলেন। বাড়ির লোকজন ভয়ে দরজা না খুলে ডাকাত বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরিচয়পত্র গ্রামবাসীদের দেখাতে না পারায় ডাকাত সন্দেহে এসআই সোহেলসহ অপর চার জনকে আটকে ফেলে গ্রামবাসী। এসময় পালিয়ে যায় কয়েকজন সহযোগী। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

আরো পড়ুন: লোকসভায় কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন কারিনা?

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার বলেন, ‘গত শনিবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৯ নং বহুরিয়া ইউনিয়নের গেরামারা গ্রামের সিংগাপুর প্রবাসী মো. আলমাছ আলীর বাড়ির ঘটনায় পুলিশের এএসআই সোহেল কুদ্দুছকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আটককৃত তার অপর চারজনকে প্রচলিত আইনে মামলার পর কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন কোর্ট বহুরিয়া গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), মীর দেওহাটা গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া (২৬), রংপুর জেলার শহিদুর রহমান (২৫) ও সাইফুল ইসলাম (৩০)। সোমবার (২১ জানুয়ারি) পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তসহ সিআইডি পুলিশের একটি বিশেষ টিম ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদকের অভিযানে থাকবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সসদ্যরা। কিন্তু বহিরাগত নিয়ে মানুষের বাড়িতে অভিযান সন্দেহজনক।

ইত্তেফাক/অনি/বিএএফ