বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ লাগবে কার’, আলোর ফেরিওয়ালার হাঁকডাক

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:২৮

নওগাঁর মান্দাতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে ভ্যানগাড়িতে করে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ফেরি করছেন।

গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের মিটারসহ নতুন সংযোগ। যা এর আগে কেউ ভাবতেই পারেননি। সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মান্দা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশংসায় সরব এলাকার জনগণ।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ ভ্যানগাড়িতে মিটার, বিদ্যুতের তার ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে মো. রওশন আলী (সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার) মো. মোস্তাফিজুর রহমান (পিইউসি) ও কয়েকজন লাইনম্যান, একজন ওয়্যারিং পরিদর্শক প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গ্রামে-গ্রামে ঘুরে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য হাঁক ছেড়ে ডাকাডাকি করছেন  ‘নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ লাগবে কার’। 

এ সময় কোনো গ্রাহক বিদ্যুৎ নিতে চাইলে মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছেন নতুন সংযোগ। নেই কোনো হয়রানি, দিতে হবে না বাড়তি কোনো অর্থ। অথচ এর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য হয়রানির শিকার হতেন গ্রাহকরা।

বাড়িতে বসে নতুন সংযোগ পাওয়া উপজেলার ছোট বেলালদহ গ্রামের মো. আবু ইউসুফ ও রওশন আরা  জানান, পল্লী বিদ্যুতের এ কার্যক্রম তাদের অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে। সংযোগ নেওয়ার জন্য অফিসে গিয়ে ধরনা দিতে হচ্ছে না। টাকা জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না।  দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে না। বাড়িতে বসে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এটা কখনো ভাবতেও পারেননি তারা। তারা বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের এ কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে এবার জনগণ প্রকৃত সেবাটা পাবে।

আরো পড়ুন: সেই ‘বনের রাজা’র দণ্ড বহাল

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভ্যানে বৈদ্যুতিক মিটার, সংযোগ তার থেকে শুরু করে সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে লাইনম্যান ও ওয়্যারিং পরিদর্শক গ্রামে-গ্রামে ঘুরছেন। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তাৎক্ষণিক আবেদন নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দিচ্ছেন। আর এজন্য গ্রাহকদের মিটারপ্রতি দিতে হচ্ছে সদস্য ফ্রি ৫০ টাকা আবেদন ফ্রি ভ্যাটসহ ১১৫ টাকা, জামানত বাবদ ৪০০ টাকা। আর বাণিজ্যিক মিটারের জন্য ৮০০ টাকা। এছাড়া পুরনো গ্রাহকদেরও কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধানেরও নির্দেশনা রয়েছে।

নওগাঁ  পল্লীবিদ্যুৎ  সমিতি- ১ মান্দা জোনাল অফিসের ডিজিএম মিলন কুমার কুণ্ডু বলেন, মঙ্গলবার থেকে এ প্রকল্পের শুরু হয়েছে। উপজেলার সব বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না পৌঁছানো পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম । নতুন এই অভিযান শুরু পর ‘আলোর ফেরিওয়ালার অপেক্ষায় মান্দাবাসী। 

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গিয়ে গ্রাহকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। একটা সংযোগের জন্য ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। খরচ করতে হয় বাড়তি অর্থ। যা মোটেও কাম্য নয়।’তাই উপজেলার সকল বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে আমাদের টিম কাজ করছে। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ