শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিদ্যালয় নদীগর্ভে, বাড়ির আঙ্গিনায় চলছে পাঠদান

আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৫

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ২০১৭ সালের বন্যায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তারপর থেকে পাঠদান চলছে একটি বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা আকাশের নীচে।

সরেজমিনে জানা যায়, ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক চারজন। তিনটি শ্রেণির পাঠদান একসঙ্গে চলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ কারো কথা ভালো ভাবে শুনতে পারেনা।

২০১৭ সালের বন্যার পর থেকে বিদ্যালয়টির এমন বেহাল দশা। রোদ, গরম ও শীতের কনকনে হাওয়াকে চোখ রাঙিয়ে চলছে পাঠদান। বৃষ্টি নামলে ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। বেশ কয়েকবার বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়েছে।কিন্তু গত ভাঙ্গনের পর বিদ্যালয়টি পুন:নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ছে। কমে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আজম আলী জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে ভবন নির্মাণ করা না গেলে পাঠদান কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।

অভিভাবক মো.সুরুজ মিয়া বলেন, আমরা খুবই বিপাকে পড়েছি। বাচ্চাদের খোলা আকাশের নিচে পড়ার জন্য পাঠাতে পারছিনা আবার ঘরে বসিয়ে রাখতে পারছিনা। সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করে বিদ্যালয়ের জন্য একটি স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা হোক।

আরো পড়ুন: ‘আমি আমার জীবনের তারকা’

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা শিপ্রা সরকার বলেন, ‘বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত অস্থায়ী একটি ভবন নির্মাণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করতে পারবো।’

ইত্তেফাক/অনি