মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী মাদ্রাসাছাত্রকে দিনভর আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটালো দুই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার জেলার সদর উপজেলার চরমটুয়া দারুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায়।
ঘটনার শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্র আহত আরমান হোসেনকে (১৫) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ছাত্রের পিতা আজাদ হোসেন সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক আবুল কাশেম ও আবু বক্কর পালিয়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রের মোবাইল ফোন চুরি হয়। পরে চুরির অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার শিক্ষক আবুল কাশেম ও আবু বক্কর ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র আরমান হোসেন ও রিয়াজ হোসেনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে পেটায়। সন্ধ্যায় দুই ছাত্রের অভিভাবককে ডেকে এনে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই রাতে আহতাবস্থায় আরমান হোসেনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হোসেন মো. আরাফাত জানান, ‘আরমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুনঃ ‘স্যার আমি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আমাকে গ্রেফতার করুন’
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইত্তেফাক/নূহু