কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধে আরিফ হোসেন (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্রেমিকার পরিবার অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। নিহত আরিফ উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আবদুল কাদের খোকনের ছেলে ও স্থানীয় মুন্সিরহাট প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন তিন বছর ধরে আরিফের সঙ্গে বারাইশ গ্রামের পশ্চিম পাড়ার শফিকুর রহমান ইদুর মেয়ে লিমা আক্তারের প্রেম চলে আসছিল। ছয় মাস আগে বাকবিতণ্ডা নিয়ে আরিফের সঙ্গে লিমা আক্তারের সম্পর্কের টানা পোড়ন শুরু হয়। এরপর লিমা পৌর এলাকার নবগ্রামের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্প্রতি আরিফ ও লিমার সম্পর্ক আবারও নতুন করে শুরু হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরিফ মুন্সিরহাট বাজারের একটি ছাত্রাবাস থেকে কোচিং শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে লিমা তাকে ফোন করে জরুরি তাদের বাড়িতে যেতে বলেন। প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিক তিনি ওই বাড়িতে যান। এসময় ওঁৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা আরিফের উপর লাঠিছোটা দিয়ে হামলা করলে তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। এরপর তিনি কাউকে কিছু না বলে নিজ বাড়িতে চলে যান। পরদিন শুক্রবার জুমুআর নামাজের পর তার মাথা ব্যথা শুরু হলে তাকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আরিফকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে আরিফের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে লিমু আক্তারের মা রৌশনারা আক্তার বুলু বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রেমের বিষয়ে আমি অবগতি আছি। তবে আরিফকে কে মেরেছে আমার জানা নেই।’
আরও পড়ুন: অবসর নিয়ে যেখানে চলে যাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা
চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার জানান, ‘নিহতের ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।’
ইত্তেফাক/কেকে