শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘আমার জন্যই চলে গেলেন বাবা-মা, বেঁচে থেকেও আমি মৃত’

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২৫

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর এলাকায় মাইক্রোবাসে আগুন ধরে দগ্ধ হয়ে নিহত দম্পতির কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতদের প্রবাস ফেরত ছেলে আবদুল মমিন। তিনি জানান, আমি সোমবার দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর হয়ে দেশে আসি। এরপর এক আত্মীয়ের বাসায় রাত যাপন করি। চট্টগ্রাম থেকে আমাকে বাড়ি আনার জন্য বয়োবৃদ্ধ বাবা (আবদুর রহমান), মা (কুসুমফুল বেগম), আমার ভাইয়ের ছেলে শিশু মালেকসহ ৬ জন একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে সকালে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যায়।

পথিমধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর এলাকায় যাওয়ার পর ওই মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। এতে দগ্ধ হয়ে আমার বাবা-মা ও মাইক্রোবাসের চালক নিহত হন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে আসি।

আরো পড়ুন: অবসর নিয়ে যেখানে চলে যাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা

এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, আমার জন্যই আমার বাবা-মাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। বেঁচে থেকেও আমি মৃত, আল্লাহ আমাকেও নিয়ে যাক। এদিকে নিহত দম্পতির লাশ কমলপুর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পর শত শত মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। এ ঘটনায় কমলপুর গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের আবদুর রহমান (৬৫) ও তার স্ত্রী কুসুমফুল বেগম (৫৫) এবং ওই মাইক্রোবাসের চালক পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বাঞ্ছা গ্রামের রুবেল (৩৫) নিহত হন।

সন্ধ্যায় নিহত আবদুর রহমান ও তার স্ত্রী কুসুমফুল বেগমকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।  

ইত্তেফাক/জেডএইচ