শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আড়াইহাজারে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ আহত ৩০

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২৭

আড়াইহাজারে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকালে  উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চালাকালীন সময়ে বাজারের দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে যায়। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে বিশনন্দী গ্রামের হাজী খোকনের জমিতে রোপনকৃত গরুর ঘাষ তুলে নেন দড়ি বিশনন্দী গ্রামের শাহনারা নামের এক নারী। এই নিয়ে খোকনের ছেলে শিকু সরকারের সঙ্গে দড়ি বিশনন্দী গ্রামের শাহানারা ছেলে ওমর সানি ও মেয়ে  তানিয়ার তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে শিকুর ভাই রিফাত ও শিকু গিয়ে ওমর সানী ও তানিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাদের মারধর করেন। 

পরবর্তীতে এই খবর দড়ি বিশনন্দী গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামের সব লোক একত্রিত হয়ে বিশনন্দী গ্রামের খোকনের বাড়িতে আক্রমন করতে যায়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন দা, ছুরি, টেটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। ৩টায় শুরু হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে ৩ ঘণ্টা। সন্ধ্যা ৬টায় থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ঘটনা নিয়েন্ত্রণ করেন। সংঘর্ষে দড়ি বিশনন্দী গ্রামের ইউপি সদস্যও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী বেনুজীরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষে দড়ি বিশনন্দী গ্রামের ৮টি দোকান পাঠ ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য আ. হান্নান। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশের একটি প্রাইভেটকার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়েছে। 

অপর দিকে বিশনন্দী গ্রামের শিকু সরকার জানান, দড়ি বিশনন্দী গ্রামের লোকজন আমাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। 

আরও পড়ুন: জাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও গুলি, প্রক্টরসহ আহত ৬

আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য আ. হান্নান, বিশনন্দী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যন হাজী বেনজির আহমেদ, আল-আমিন, তানিয়া, ওমর সানি, নিহাত, মঞ্জুর হাজী, শাহিন, হোসেন, আতিক, মো. আলী, ফারুক, মোস্তাকিন, শুক্কর আলী, মোসলেহ উদ্দিন ও কবির হোসেনসহ ১৫ জনকে  উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উভয় পক্ষের লোকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

ইত্তেফাক/কেকে