শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইউএসএআইডি’র উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৪

যশোর ও খুলনায় ইউএসএআইডি’র উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। বুধবার ইউএসএআইডি’র কৃষি, শ্রম ও খাদ্য সহায়তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পরিদর্শন ছাড়াও এবং খুলনা আমেরিকান কর্নারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রদূত মিলারের সঙ্গে ছিলেন ইউএসএআইডি’র ডেপুটি মিশন পরিচালক জেইনা সালাহি। মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত ও তাঁর সফরসঙ্গীরা যশোরে সরকারি কর্মকর্তা, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও ইউএসএআইডি’র কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণকারী লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। ইউএসএআইডি’র উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর প্রভাব সম্পর্কে সরাসরি মানুষের কাছ থেকে জানাই ছিল তাদের এ সফরের উদ্দেশ্য। এসব কর্মসূচি কীভাবে কৃষিতে উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করছে যশোরে তা দেখেন রাষ্ট্রদূত। সেখানে ‘জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং’ ও ‘দি মেটাল প্রাইভেট লিমিটেড’ এর মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে ইউএসএআইডি।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিদলটি স্থানীয় ফুলচাষীদের সঙ্গে দেখা করেন। নতুন আরও কিছু জাতের ফুল চাষ ও উন্নত কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে তারা উৎপাদন বাড়িয়েছেন। এজন্য ইউএসএআইডির কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এসব ফুলচাষীরা। প্রতিনিধিদলটি স্থানীয় কার্প প্রজাতির মাছের সবচেয়ে উৎপাদনশীল ও শক্তিশালী জাত তৈরির কাজে নিয়োজিত মৎস্যবিজ্ঞানীদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন।

রাষ্ট্রদূত মিলার ‘ফল আর্মিওয়ার্ম’ পোকার হুমকির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে সম্প্রতি আসা এ পতঙ্গটি বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি করতে পারে। এ নিয়ে বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘কৃষকদের সচেতন করা এবং পতঙ্গটি দমনের উপায় বের করতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থার ব্যাপক কর্মতৎপরতায় আমি সন্তুষ্ট। তাদের গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে কৃষকদের ফল আর্মিওয়ার্ম দমনে সহায়তা করতে বিশেষ করে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের উপকরণসহ নতুন পণ্যের নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।’

খুলনায় রাষ্ট্রদূত মিলার ইউএসএআইডি’র কর্মসূচি ‘নব যাত্রা’র উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন মানুষদের জন্যই এ কর্মসূচিটি পরিচালিত হয়। ‘নব যাত্রা’র উপকারভোগীরা ইউএসএআইডি থেকে শেখা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কীভাবে খাদ্য উৎপাদনে তাদের স্বনির্ভরতা বাড়াচ্ছে রাষ্ট্রদূত তা সচক্ষে দেখেন।

প্রতিনিধিদলটি এর পরে একটি চিংড়ি ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। এ শিল্পটি সম্পর্কে ধারণা পেতে ও সেখানকার শ্রম পরিস্থিতি জানতে সেখানে যান তারা। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করে, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ক্ষেত্রে একটি দেশের সাফল্যের জন্য শ্রমমানের উন্নয়ন করা ও কর্মী অধিকার সমুন্নত রাখা দুটিই খুব জরুরি।

আরও পড়ুনঃ ডন পত্রিকার কলাম—‘বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে যেভাবে’

ইউএসএআইডির সহায়তাপুষ্ট স্থানীয় ‘ওয়ার্কার্স কমিউনিটি সেন্টার’ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলারের সফর শেষ হয়। ওয়ার্ল্ডফিশ,এসিডিআই/ভিওসিএ (ভোকা), সিআইএমএমওয়াইটি (সিমিট) উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এবং ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি)সহ অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় প্রতিনিধিদলটির এ সফরের আয়োজন করা হয়।

ইত্তেফাক/টিএস