বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সুন্দরবনের কাছে ইটভাটা, জানে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩০

বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ৩০টির বেশি ইটভাটা। এ সব ইট ভাটায় জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সুন্দরবনের নানা প্রজাতির গাছ। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ করে’ চলছে রমরমা ইট ভাটার ব্যবসা। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবন। 

সরকারের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও আবাসিক এলাকার ৩ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনো ধরণের ইটের ভাটা স্থাপন করা যাবে না। এই আইন অমান্য করে পরিবেশ সংরক্ষণ দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই শরণখোলা উপজেলায় ৩০টির অধিক ইটের ভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। 

সরেজমিনে উপজেলার হোগলপাতি, কালীবাড়ি আমড়াগাছিয়া, ধানসাগর, বকুলতলা, সোনাতলা, চালিতাবুনিয়া, বগী এলাকায় ইটভাটা গুলো দেখা গেছে। ইট ভাটা ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির মাটি কেটে ইট তৈরি করাসহ কাঠের স্তূপ করে রেখেছেন ইট ভাটা গুলো পাশে। এসব অবৈধ ইট ভাটা মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় জেনেই অপর প্রান্ত থেকে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন অনেকেই। 

পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার আইনজীবী এডভোকেট সাইদ আহম্মেদ কবির বলেন, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমতি ছাড়া কেউ ইটভাটা করতে পারবেন না। ইট ভাটায় ফসলী জমির মাটি ও জ্বালানী হিসাবে কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। 

আরো পড়ুন: সিরিয়া ছাড়তে চায় আইএস’র বাংলাদেশি কিশোরী বধূ

বাগেরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, শরণখোলা উপজেলায় ইটের ভাটার বিষয়টি তারা জানেন না। তবে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করবেন।
 
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, ইট পোড়ানোর জন্য কোনো অনুমতি উপজেলার কাউকে দেওয়া হয়নি। তবে কোথায় ইট পোড়ানো হচ্ছে তা জানতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইত্তেফাক/অনি