শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাঁধ নির্মাণের আগে কোন টাকা দেওয়া হবে না: প্রতিমন্ত্রী

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৫১

হাওরের ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে বন্যায় হাওরের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। ২০১৮ সালে বন্যা হয়নি বলে হাওরের ফসল রক্ষা পেয়েছে। সুনামগঞ্জ হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ আশানরূপ হয়নি, সময়মত বাঁধ নির্মাণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, তাই কাজ শেষ না হওয়ার আগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে কোন টাকা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখ।

শুক্রবার সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওর পরিদর্শন শেষে বাঁধ নির্মাণে কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণে সঠিক নীতামালা মানা হয়নি। এছাড়া বাঁধে ঠিকমতো মাটিও পড়েনি। এছাড়া বেশির ভাগ বাঁধের কাজ এখনো রয়ে গেছে। তাই সময়মত বাঁধের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। প্রশাসনের সবাইকে আরো সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। কাজ শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাঁধের কাছে থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

আরো পড়ুন: কৃষকের ২১ বিঘা জামির ফসল এক রাতে নষ্ট করলো দুর্বৃত্তরা

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে পরিবেশিত খবর দেখে আমি ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে এসেছি। আপনারা দেখেন; হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে কোথায় অনিয়ম ও গাফিলতি রয়েছে। সেগুলো নিয়ে প্রতিবেদন করেন। কাজ হবে। এখানে ড্রাইভিং সিটে বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি হলেন আমাদের চালিকা শক্তি। আমরা ওনার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের খুব ভালোবাসেন। তার ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটে আমাদের কাজকর্মে। আমাদের কাজ হলো প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা।’

জাহিদ ফারুখ বলেন, ‘আমরা হাওরে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করি। আমরাও চাই না এখানে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করি। আমরা চাই স্থায়ীভাবে একটা কিছু হোক। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে সময় লাগবে। এতে অনেক পরিকল্পনার বিষয় রয়েছে। হাওরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি দেখা যায়; হাওরে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে ঠিক হবে তাহলে আমরা সে পথেই এগুবো।’

আরো পড়ুন: মোদীর বার্তায় যুদ্ধের আশঙ্কা, পারমাণবিক হামলার ইঙ্গিত পাকিস্তানের

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদআব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বরকতুল্লা খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলামসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।

ইত্তেফাক/বিএএফ