বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তদন্ত নিয়ে গড়িমসি

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে গড়িমসি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন পৌঁছায়নি আদালতে।

ওই কর্মকর্তা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছে ওই গৃহবধূ ও তার পরিবার। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের ওই গৃহবধূকে প্রায়ই বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতেন একই গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫)। বিষয়টি নিয়ে ওই গৃহবধূর পরিবার স্থানীয়ভাবে বিচারপ্রার্থী হলে হাবিবুর রহমান আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ওই গৃহবধূকে কলঙ্কিত করার হুমকি দেয়।

এরই জের ধরে গত ৯ জানুয়ারি রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে হাবিবুর রহমান কৌশলে গৃহবধূর ঘরে ঢোকে। পরে হাবিবুর রহমান ওই গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূ চিৎকার শুরু করলে পাশের ঘরে থাকা গৃহবধূর ছেলে-মেয়েরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তখন হাবিবুর রহমান পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ১৫ জানুয়ারি ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য জন্য বিচারক সরাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ অস্বীকার করে সরাইল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি। আমার স্টাফদের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া আছে।’

আরও পড়ুনঃ মঠবাড়িয়ায় ট্রলি চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু

তবে ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেননি সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম।

ইত্তেফাক/নূহু