রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাধ পুননির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, বাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে তীর সংরক্ষণ বাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হবে।
স্থানীয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ীর সারাংপুর এলাকায় ১৭৮ মিটার পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ পুননির্মাণের জন্য দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সাল কাজ শুরু করলেও নদীর পানি বৃদ্ধির অজুহাতে কাজ বন্ধ করে দেয়। যা গত ২০ মাসেও শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
আরো পড়ুন: দেড় বছর পর পাগলীর আমানতের টাকা ফেরত দিলেন এসআই
গত জানুয়ারি মাস থেকে আবারো নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজে বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া পুরাতন ইট-পাথরসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। বাঁধের পাড়ের মাটি কেটে সমান করা হচ্ছে না। উঁচু নিচু রেখেই পাড়ের উপর ব্লক বসানো হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এসব অনিয়মের অভিযোগ দায়িত্বপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন তারা।
বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। ছবি: ইত্তেফাক
এলাকাবাসী বলেন, বাঁধ নির্মাণ কাজ দেখার জন্য একজন উপসহকারী প্রকৌশলী দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও তিনি মাঝে মধ্যে আসেন। আর এই সুযোগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন ব্লক তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে আসছে।
সারাংপুর এলাকায় বাঁধ নির্মাণ কাজটি পেয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন। অভিযোগের বিষয়ে কোন কথা বলতে চায়নি প্রতিষ্ঠানটির লোকজন। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগের সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম বলেন, বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ