শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্র আসিফ বাঁচতে চায়

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৭

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত স্কুলছাত্র আতিকুর রহমান খন্দকার (আসিফ) বাঁচতে চায়! সে উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল বাতেন খন্দকারের ছেলে ও ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

বর্তমানে আসিফ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অসুস্থতার কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার অভাবে যত দিন যাচ্ছে স্কুলছাত্র আসিফের দেহ ততই ক্ষয় হচ্ছে। হাড্ডিসার হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে সে। এভাবে সময় পার হলে এ সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবে এমন আশঙ্কা করছে আসিফের পরিবার।

আসিফের বাবা আব্দুল বাতেন খন্দকার বলেন, ‘শিশু আসিফ গত দুই মাস আগে একদিন সে হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে তার পুরো শরীর শুকাতে থাকে। কাঁশলে মুখ দিয়ে কালো রক্ত বের হয়, এখন তার হাত-পায়ের নখের মাথা দিনদিন বড় হচ্ছে। ঘাড় ও কোমর ব্যথা করছে। শরীরের যে কোন অংশে সামান্য আঁচর লাগলে কালো রক্ত বের হচ্ছে। 

লালমনিরহাটের রাফি মেডিকেলের চিকিৎসক, মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শরিফুল ইসলাম রতন শিশু আসিফকে দেখে তার ভাল্ব নষ্টের উপক্রম, মেরুদণ্ডের হাড় ফুটো হওয়ায় দ্রুত অপারেশনের জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। 

অপারেশনে প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ছেলের চিকিৎসা বাবদ এতো টাকা কিভাবে জোগার করবে এ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন আসিফের বাবা আব্দুল বাতেন খন্দকার ও মা আতেজন বেগম। তাদের বেঁচে থাকার সম্বল বসতভিটার ১৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেও এতো টাকা জোগাড় করা তাদের পক্ষে অসম্ভব। তাই কোলের সন্তানকে বাঁচাতে দেশ-বিদেশের স্ব-হৃদয়বান মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

রোগাক্রান্ত স্কুলছাত্র আসিফের আকুতি, ‘আপনারা আমাকে বাঁচাতে সাহায্য করুন, আমি বাঁচতে চাই। আমি ভালো হয়ে স্কুলে পড়তে যাবো। পড়া লেখা করে বড় হয়ে সমাজের দরিদ্র মানুষের সেবা করবো।’

আসিফকে সাহায্য পাঠার ঠিকানাঃ আসিফ, প্রযত্নে: আব্দুল বাতেন খন্দকার, সঞ্চয়ী হিসাব নং: ৫২০৫০০১০২৯৬০১, সোনালী ব্যাংক লিঃ ফুলবাড়ী শাখা, কুড়িগ্রাম।

আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবুল মনসুর আহমেদ

প্রয়োজনে আসিফের বাবার এই মোবাইল নম্বরে ০১৭৭৩-৪৫১৮৭৭ (বিকাশ ও রকেট) এর মাধ্যমে সাহায্য পাঠানো যাবে।

ইত্তেফাক/নূহু