বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘বহু আবেদন করার পরও ফলাফল আসেনি’

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৮:২৫

হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের ২৭নং মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন গুলো জরাজীর্ণ। তাই খোলা মাঠেই চলছে পাঠদান। খোলা আকাশের নিচে প্রতিনিয়ত লেখাপড়া করে আসছে শতাধিক কোমলমতি শিশু। 

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১২ সালে। ১৯৬৫ সালে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর কেটে গেছে ৫৪টি বছর। বিদ্যালয়টিতে লাগেনি কোনো উন্নয়ন ছোঁয়া।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা ক্লাস করতে এসে ভয়ে থাকি। কখন যে ওপর থেকে আস্তর খসে পড়ে! তাই মাঠে ক্লাস করানো হয়।

একজন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়টি এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর পর বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত খুবই চিন্তিত থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন, বিদ্যালয়ে যোগদানের প্রায় আট বছর হয়েছে। ভবনের নাজুক অবস্থা দেখে উপজেলা শিক্ষা বিভাগে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন করেছি। স্থানীয় সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নিকট শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবেদন করেছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিন একটি অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় ভবন করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন: কুমুদিনী পরিবারে ৩১ পদের খাবার খেলেন প্রধানমন্ত্রী

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান জানান, ২৭নং মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, ‘আমি সভাপতি হয়ে ব্যর্থ হয়েছি তা বলবো না। আমার পূর্বেও যারা ছিলেন তারা অনেক চেষ্টা করেছেন। বহু আবেদন করার পরও ফলাফল আসেনি।’

ইত্তেফাক/অনি