শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

থানা থেকে দু’শ গজ দূরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চুরি

আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৯, ১৯:৪২

রাজশাহীর বাঘা থানা থেকে মাত্র দু’শ গজ দূরে ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’ এর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জানালার গ্রিল ভেঙ্গে এ চুরি সংঘটিত হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সারাদিন অফিস পরিচালনা শেষে নাইট কার্ড পার্থে ওপর দায়িত্ব দিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় অফিস বন্ধ করে বাড়ি চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর রাতে ব্যাংকের পূর্বদিকের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে চোরেরা অফিসের দুটি রুমে প্রবেশ করে এবং ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করাসহ ১টি আলমারি ও ৭ টি টেবিলের ড্রয়ার ভাঙচুর করে।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্বয়ক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের অফিস থেকে গ্রাহকের মাঝে প্রায় সাড়ে ৬ কোট টাকা ঋণ দেওয়া রয়েছে। এ ঋণ থেকে প্রায় প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা জামানত জমা হয়। এ টাকার লোভে চোরেরা এমন কাজটি করেছে। কিন্তু এ টাকা সোনালী ব্যাংকে প্রতিদিন জমা দেওয়া হয়। ফলে কিছু কাগজপত্র ও আসবাপত্র ভাঙচুর ছাড়া বিশেষ কোন ক্ষতি হয়নি। তিনি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঘা থানায় একটি জিডি করেছেন বলে জানান।

আরো পড়ুন: ‘মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নাইট কার্ড পার্থ কর্মকার বলেন, আমি ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যাংকের মধ্যেই ৩ নম্বর কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ি। এক নম্বর কক্ষের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে চোরেরা ভেতরে ঢুকে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে আলমারির ৭ টি ড্রয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি রাতে বুঝতে পারিনি। সকালে উঠে দেখি অফিসের চুরি হয়েছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রধান কর্মকর্তা স্যারকে জানিয়েছি।

এদিকে বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা।

বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী জানান, এই চুরির  ঘটনায় থানায় একটি ডায়েরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য বাঘা থানার এক নম্বর গ্রেট থেকে মাত্র ৫০ গজ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন থেকে দেড়শ গজ দুরে  অবস্থান এই ব্যাংকটি’র। এ স্থানটি যদি নিরাপদ স্থান না হয়ে থাকে-তাহলে উপজেলায় কথাও নিরাপদ স্থান নেই বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় লোকজন।

ইত্তেফাক/বিএএফ