ধূলাবালিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ঈশ্বরদী পৌরবাসীর জীবন। বায়ু দূষণের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর। সকাল-বিকাল শহরের প্রধান সড়কগুলোতে দোকানীরা পানি ছিটিয়েও ধূলাবালির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসছে না যানবাহন চলাচলের সময় ধূলাবালি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
শহরের প্রধান সড়ক আলহাজ্ব মোড় থেকে রেলগেট, স্টেশন রোড, চাঁদ আলীর মোড়, কলেজ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে পানি ছিটিয়ে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।
সড়কের পাশের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ধূলাবালির কারণে দোকানে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ক্রেতারা দোকানে এক মুহূর্ত দাঁড়াতে চায় না। ফলে ব্যবসার ওপর প্রভাব ফেলছে। রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোতে ধূলাবালির দূষণের প্রভাব ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সংস্কার কাজ হয়নি। সংস্কারবিহীন বেহাল রাস্তার কারণে ধূলাবালির প্রকোপ কোনোভাবে রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তায় জমে থাকা ধূলাবালি ও যানবাহন চলাচলের ফলে বায়ু দূষণ হচ্ছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির আসবাপত্রের ওপর ধূসর আস্তর পড়ে দ্রুত বিনষ্ট হচ্ছে এসব সম্পদ।
ধূলায় বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, হাঁপানি, চোখের সমস্যা, সর্দি, কাশি, হাঁচিসহ বহু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ডিম বালককে বিয়ে করতে চান অস্ট্রেলীয় তরুণীরা
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হতে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে পৌরবাসী।
ইত্তেফাক/নূহু