বাগেরহাট শহরে গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিমের স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে (৬০) গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট পৌরসভার দক্ষিণ সরুই এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের সময় নিহত গৃহবধুর স্বামী ওমরা হজ পালন করতে গত ১৮ মার্চ থেকে সৌদি আরবে রয়েছেন। তার ৩ ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা চাকরির সুবাদে বাড়িতে ছিলেন না। তবে কারা কি কারণে এই গৃহবধূকে হত্যা করেছে তা পুলিশ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
নিহতের ছোট বোন ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘আমার বড় ভাগ্নের ফোন পেয়ে তাদের বাড়িতে আসি। এসে দেখি বোনের রক্তাক্ত মরদেহ খাটের ওপর পড়ে আছে। ঘরের সব দরোজা খোলা। দুটি আলমারি ভাঙা। পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে না থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তের দল ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছি। তবে তা কি পরিমান হবে তা তার স্বামী ও ছেলেরাই বলতে পারবে। ঘরে ঢোকা দুর্বৃত্তদের হয় তিনি চিনে ফেলেছেন অথবা মালামাল লুটের সময় বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।’
আরও পড়ুনঃ বালাগঞ্জে গণধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢোকে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রাত পৌনে দশটার দিকে নিহতের বড় ছেলে ফরিদ হোসেন ঢাকা থেকে তার মাকে মোবাইলে বারবার ফোন করতে থাকে। কিন্তু তার মা ফোন না ধরায় খালা ঝর্ণা বেগমকে ফোন করে মার খোঁজ নিতে বলেন। তখন ঝর্ণা বেগম হোসনে আরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দরোজা খোলা দেখতে পান। তিনি ভেতরে ঢুকে খাটের উপর বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। কারা কি কারণে এই গৃহবধূকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
ইত্তেফাক/নূহু