বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মির্জাপুরে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫৫

মির্জাপুর উপজেলার ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আদিলুর রহমান আদিল খানের (৪৫) বিরুদ্ধে একটি ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। ৩০ লাখ চাঁদা দাবি ও কয়েক কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ঐ পরিবার।

গতকাল শুক্রবার মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আদিল খান গংদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভুক্তভোগী ও প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত মো. আবু আহাদ খান পিন্টু।

সংবাদ সম্মেলনে আবু আহাদ খান পিন্টু লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আমি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত রোগী। দীর্ঘ দিন ধরে ঠিকমত হাঁটতে ও কথা বলতে পারি না। আমার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে পড়াশোনা করছে। গোড়াই ইউনিয়নের মইননগর মৌজায় ১৬৬৫ দাগের ৯২৩ খতিয়ানের ৫২৩ শতাংশ জমির পৈত্রিক সূত্রে, ক্রয় ও দলিল সূত্রে মালিক। কয়েক যুগ ধরে আমরা এই জমি ভোগ দখল করে আসছি। 

এলাকার ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ ইউপি মেম্বার আদিল খান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এই জমির ওপর তাদের কিছু জমি রয়েছে বলে দখলের চেষ্টা এবং ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। ঘটনাটি জানিয়ে আমরা পুলিশ ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। অনুরোধ করেছি আদিল গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। 

এসপি মহোদয়ের নির্দেশে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনজীবীরা উক্ত ভূমির মীমাংসা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এসপির নিকট। আইনজীবীদের মীমাংসাপত্র উপেক্ষা করে ও লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে আদিল খান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, জমিতে যেতে না দিলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এখন আমি ও আমার পরিবার আদিল বাহিনীর হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ আদিল খান গংদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবু আহাদ খান পিন্টুর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লাখী, পুত্র ফাহিম ফয়সাল খান, কন্যা প্রিয়াংকা খানম ও প্রতিবেশী সোহেল মিয়া প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ মঠবাড়িয়ায় ঝড়ে পড়া গাছচাপায় রাজমিস্ত্রী নিহত

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোড়াই ইউনয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আদিলুর রহমান খান আদিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে একজন জনপ্রিয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। গোড়াই ইউনিয়নের মইননগর মৌজায় ও উক্ত দাগের মধ্যে আমাদের ক্রয়কৃত জমি রয়েছে। ক্রয়কৃত জমি উদ্ধারের জন্য আমরা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ৫/২০০৬ নং বাটোয়ারা মামলা করেছি। মামলার পর যুগ্ম জেলা জজ ঐ জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মো. আবু আহাদ খান পিন্টু গংরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত ভূমিতে বেড়া নির্মাণ করেছে। পিন্টু গংরা এখন উল্টো আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে যার কোন ভিত্তি নেই।’

ইত্তেফাক/নূহু