শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাজশাহীতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০১৯, ২০:৩৯

এবার রাজশাহী মহানগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইনিস্টিটিউটের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষিকা। ঘটনার প্রায় ৩ বছর পর গত রবিবার তিনি বিচার ও চাকরি ফেরত চেয়ে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে। মন্ত্রী অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নিতে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ওই অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম রিপনের খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী। ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিলের এ ঘটনার পর অধ্যক্ষ ওই শিক্ষিকাকে কৌশলে চাকরিচ্যুত করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা কলেজটির কম্পিউটার প্রদর্শক কাম মেকানিক (ইনডেক্স নং-৩০৭৩২২৯) ছিলেন। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, অধ্যক্ষ কেবল তার নন, অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীরও শ্লীলতাহানি করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নিজ অফিস কক্ষে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের পরদিন অধ্যক্ষ রিপনের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে এলাকাবাসী। এরপর তিন ছাত্রী এবং এক শিক্ষিকা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গত বছরের ৮ মার্চ অধ্যক্ষ রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধষর্ণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন কলেজেরই এক ছাত্রী। ওই দিনই পবা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে অধ্যক্ষ রিপনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালে চলমান আন্দোলন থেমে যায়।

এরপর ১৩ মার্চ গভর্নিং বডির সভায় অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বছরের ৪ জুলাই ছাত্রী অপহরণ ও ধষর্ণ চেষ্টায় অধ্যক্ষকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপরও জামিনে মুক্ত হয়েছে ওই অধ্যক্ষ।

শিক্ষিকার ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন’ দাবি করে অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপন বলে, ‘তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন।’

আরও পড়ুনঃ জীবননগরে স্কুল ছাত্রী নিহতের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ নেওয়াজ বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অধ্যক্ষ রিপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/নূহু