বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস বিক্রি, অতঃপর...

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৮

কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। আর এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে যায়। যারা সেই গরুর মাংস খেয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ্যও হয়ে পড়েন। ওই গরুর মাংস খেয়ে অন্যান্যরাও এখন আতঙ্কে রয়েছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে। 

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ১২ নম্বর ডিগ্রি এলাকার বাজারে কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস ৪০০ টাকা কেজি মূল্যে বিক্রি করা হয়। ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা (১২ নম্বর ডিগ্রি ও গাব্বুনিয়া) খলিল ফরাজী এই গরুর মাংস বিক্রি করেন। এই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেই গরুর মাংস খাওয়া ৪-৫ জন নারী-পুরুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে গুরুত্বর অসুস্থ্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে গলাচিপা ও পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন: প্রতিবেশীর বাড়িতে স্কুলছাত্রের বাক্সবন্দি মরদেহ

এদিকে, এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই গরুর মাংস অন্যান্য যারা খেয়েছেন, তাদের মধ্যেও এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১২ নম্বর ডিগ্রি এলাকার এক বাসিন্দা জানান, কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস খেয়ে আমার বাড়িতে ভাবী ও দাদী অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। এছাড়া তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেনেশুনে কুকুরে কামড়ানো গরু জবাই করে খলিল ফরাজীর বাজারে বিক্রি করা ঠিক হয়নি। 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মৃধা বলেন, ‘কুকুরে কামড়ানো গরুর মাংস খলিল ফরাজী বাজারে বিক্রি করছে। ওই গরুর মাংস খেয়ে অনেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন।’ 

অভিযুক্ত খলিল ফরাজী বলেন, ‘গরু জবাই দেওয়ার সময় আমি ছিলাম। পরে শুনছি, ওই গরু নাকি কুকুরে কামড়াইছে। কিন্তু তা সত্য না। আমি গরুর মাংস বিক্রি করি নাই। ফেলাবুনিয়ার রত্তন খোনারের ছেলে জুরান খোনারের গরু, তিনি নিজেই জবাই দিয়া ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে।’ 

রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবো।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, ‘অসুস্থ্য গরু জবাই দেওয়ার কোন বিধান নেই। তবে মাংস রান্না করার কারণে খেলে সমস্যা নেই। কিন্তু যারা বাড়িতে মাংস কাটার সঙ্গে জড়িত, তাদের রিক্স থাকে। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার কারণে এটা সাইক্লোজিকালি সমস্যা হয়েছে। একারণে অসুস্থ্য হতে পারে।’     

ইত্তেফাক/জেডএইচ