সদর উপজেলার জালালাবাদ থানায় এক মাস আগে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাকির খান শুভ (৩৬) নামে একজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কালারুকা গ্রামে কওমী ও ফুলতলী মতাদর্শের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সাকিব পুরান কালারুকা গ্রামের ছেলে।
সিলেট এসএমপির জালালাবাদ থানার ওসি শাহ মো. হারুন-অর-রশীদ সন্ধ্যায় ইত্তেফাককে বলেন, এক মাস পূর্বে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে একটি বিরোধের জের ধরে হামলায় শাকির খান খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মূল আসামি উসমান খানসহ ৯জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুরান কালারুকায় গত এক মাস পূর্বে ওয়াজ মাহফিলে পাল্টাপাল্টি হামলা নিয়ে প্রতিবেশী উসমান খান পরিবারের সঙ্গে শাকির খানের পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে শাকির খান ব্যবসায়ীক কাজে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় উসমান খানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে ছুরিকাহত হন শাকির খান।
পরে তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে শাকিরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের জের ধরে পাল্টা হামলায় একই গ্রামের নোমান খান (৩৫) ও সাহেল খান (৩৫) আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতদের পরিবারের দাবি, শাকির খানের পরিবারের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
নিহত শাকির খানের চাচা জামাল খান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী আলাউদ্দিন খানের বাড়িতে বৈঠকের পরই আমার ভাতিজার ওপর হামলা চালানো হয়। শাকির হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার
এ ঘটনায় স্থানীয়রা হামলাকারীদের আটক করে পুলিশে সপোর্দ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই শাকিরের দাফন শেষে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
ইত্তেফাক/নূহু