শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নাগেশ্বরীতে ইরি-বোরো বীজতলা তৈরিতে ঝুঁকছে কৃষকরা

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৩

নাগেশ্বরীতে প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের পাশাপাশি ইরি বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সরকারি বীজের চেয়ে তাদের আস্থা বেসরকারিভাবে বাজারজাতকৃত বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ধান বীজে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবারে ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বিপরীতে প্রয়োজনীয় বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তা শতভাগ অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলে এখন আমন ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। কৃষকরা ধান কাটা-মাড়াই নিয়ে ব্যস্ততার মাঝেও মনোনিবেশ করেছে বীজতলা তৈরিতে। সূর্যের আলো ফোটার আগে ধান কাটাতে যাওয়ার পূর্বে ঘন কুয়াশা ও শীতল হাওয়া উপেক্ষা করে কৃষক লাঙ্গল-জোঁয়াল কাঁধে ছুটছে জলাশয় ও নদী তীরবর্তী জমি বীজতলা তৈরির উপযোগী করতে।

গতবছর বিএডিসির ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯ বীজে লাগানো ধানক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই সরকারি ধানবীজে কিছুটা আস্থা হারিয়ে এবারে বেশিরভাগ কৃষক বেসরকারিভাবে বাজারজাতকৃত বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ধানবীজ কিনে বীজতলা তৈরি করছে।

আরো পড়ুন: ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পৌরসভার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান, বাঘডাঙ্গা গ্রামের রজব আলীসহ অনেক কৃষক জানান, শুধু নেকব্লাস্ট রোগের কারণে তাদের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তারা এবারে ঝুকি না নিয়ে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯ বীজের পাশাপাশি ৫৮ জাতের হাইব্রিড ধানের বীজতলা তৈরি করছে। এছাড়া ধানক্ষেতে নেকব্লাস্টসহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতির কথা ভাবছেন তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শামছুজ্জামান জানান, ‘পুষ্ট বীজে ভালো ফলন। তাই ভালো বীজতলা তৈরিতে তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’  

ইত্তেফাক/বিএএফ