বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, ১৬ কারখানায় ছুটি

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৪

সাভার উপজেলার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সরকারী গেজেট অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমে এলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় এ শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে সহিংস ঘটনা এড়াতে গতকাল ১৬টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো কারখানায় প্রবেশের পর সরকার ঘোষিত গেজেট বাস্তবায়নের দাবিতে উৎপাদন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন শুরু করে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বুঝিয়ে কাজে যোগদান করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। 

এক পর্যায়ে দুপুর ১২ টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া মোল্লাবাড়ি এলাকার এ.আর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, চারাবাগ এলাকার মেট্রো নিটিং এন্ড ডাইং মিলস লিমিটে, লিলি এ্যাপারেলস, টেক্স টাউন গার্মেন্টস, এফজিএস ডেনিম গার্মেন্ট, ক্রোসওয়্যার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ সহ প্রায় ১৬টি কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় ভাংচুর চালালে পুলিশ সদস্যরা তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরা পিছু হটে বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ শ্রমিক আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, 'মজুরী বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। এর ফলে শ্রমিকরা না বুঝেই কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দুপুর ১২ টার দিকে শিল্পাঞ্চলের কাঠগড়া এলাকায় শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানা এবং যানবাহনে ভাংচুরের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ১৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'

ইত্তেফাক/নূহু