ঝালকাঠি সদর এবং নলছিটি উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝালকাঠি-২ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী আমি হোসেন আমু। গত সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনি এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন- এ আসনে জনগণ এবার আমির হোসেন আমুকে নির্বাচিত করে উন্নয়নের সুবিচার করবে।
অপরদিকে আমির হোসেন আমুর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি জীবা আমিন খান। ইতিপূর্বে এ আসনে কেন্দ্রীয়ভাবে ইসরাত জাহান ইলেন ভুট্টো ও জীবা আমিন খানকে মনোনয়ন দিলেও শেষ পর্যন্ত ধানের শীষ মার্কা দেওয়া হয় জীবাকে। তিনি মার্কা পেয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ঝালকাঠির নবগ্রামের তার নিজ বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। এতে ঝালকাঠি ও নলছিটিসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জীবা আমিন খান বলেন, আমি নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করতে ১১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বিমানে বরিশালে এসে পৌঁছাই। সেখানে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেখানে প্রতিপক্ষের হামলায় আমার ৬/৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আমার বাড়িতে নির্বাচনী সভায় আগত লোকজনদের পুলিশ বাঁধা দিয়েছে। নেতা কর্মীদের বাসায় রাতে পুলিশ রেড দিচ্ছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমির হোসেন আমু সকলের মুরব্বী। আশাকরি তিনি নির্বাচন পর্যন্ত এলাকায় নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বাজায় রাখতে ভূমিকা রাখবেন।
আরো পড়ুন: ঝালকাঠি-১: আসন হারাতে চায় না আওয়ামী লীগ, পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি
এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হয়েছেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
ঝালকাঠি-২ আসনের নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ্ পনির বলেন, বিগত দিনে আমাদের সকলের অভিভাবক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এই আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এই আসনের সাধারণ মানুষ সেই উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে পুনরায় বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে সাধারণ মানুষ। ইতি মধ্যেই আমরা তৃনমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে গ্রাম গঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে আমু ভাইয়ের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছি। তারা উন্নয়নের সুফল হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই আসনের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঝালকাঠি-২ আসনে ২টি পৌরসভা ও ২০ টি ইউনিয়ন রয়েছে। ভোটকেন্দ্রর সংখ্যা ১৪৭। এ আসনে পুরুষ ভোটার লাখ হাজার এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫১। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৭ জন।
ইত্তেফাক/বিএএফ