শ্রীলংকার জাতীয় সংসদের স্পিকার কারু জয়সুরিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হওয়ার পর তার দেশে এখন কোন প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিপরিষদ নেই। বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
এর আগে বুধবার সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করে বিরোধীরা। ২২৫ সদস্যবিশিষ্ট সংসদের ১২২ জনই ভোট দেন তার বিরুদ্ধে।
এ স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বলেন, তিনি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করবেন। তার দবি স্পিকার সংবিধান, সংসদীয় রীতি ও ঐতিহ্য অনুসরণ করেননি।
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপল সিরিসেনা। বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে সাংবিধানিক সংকটে পড়েছে ভারত মহাসাগরীয় দেশটি।
আরও পড়ুনঃ শ্রীলংকার পার্লামেন্টে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট
গত কয়েক মাস ধরে শ্রীলংকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রনিল বিক্রমসিংহের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলো না। তাদের দুইজনের দ্বন্দ্বে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর জেরে বর্তমান জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স। এরপরই ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি হতে আসা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বহিষ্কার করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
২০১৫ সালের নির্বাচনে রাজাপাকসেকে পরাজিত করেছিলেন সিরিসেনা। পরাজিতরা একে ‘ভারত সমর্থিত অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করেন।
ইত্তেফাক/টিএস