শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে এবার এমপিদের মরিচ গুঁড়া, চেয়ার ছোড়াছুড়ি

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:৪১

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার দুই দলের এমপিদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার পরদিন গতকাল শুক্রবার আরো ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম নিয়েছে। এবার এমপিরা মরিচ গুঁড়া ও চেয়ার ছুড়ে পরস্পরের উপর হামলা চালিয়েছেন। মারামারিতে আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কয়েকজন এমপিকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পার্লামেন্টের ভেতর নজিরবিহীনভাবে পুলিশ প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনা গত ২৬ অক্টোবর রনিল বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার করলে সংকট শুরু হয়। বিক্রমাসিংহে এ সিদ্ধান্ত মানেননি। গত বুধবার পার্লামেন্টে এ নিয়ে আয়োজিত অনাস্থা ভোটে হেরে যান রাজাপাকসে। পরদিন বৃহস্পতিবার আরেক ভোটাভুটি হয়। সেটি নিয়ে ব্যাপক হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

তবে গতকাল একই বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে এমপিরা পরস্পরের দিকে মরিচের গুঁড়া ছুড়তে শুরু করেন। একপর্যায়ে আছাড় মেরে মেরে এমপিদের চেয়ার ও টেবিল ভেঙে সেগুলো লাঠি হিসেবে ব্যবহার করে মারামারিতে লিপ্ত হন। ছুঁড়ে মারা মরিচের গুঁড়ার কারণে কয়েকজনকে ঘন ঘন চোখ ডলতেও দেখা গেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, সংসদ অধিবেশন আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করে পুলিশের সহায়তায় স্পিকারকে অধিবেশনস্থল ত্যাগ করতে হয়।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে এমন দৃশ্য নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন পার্লামেন্টের এক সাবেক কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও স্পিকারকে সুরক্ষা দিতে পুলিশ ঢুকতে হয়েছে। এমন ঘটনাও এটাই প্রথম। আক্রান্ত অনেককে পার্লামেন্টের চিকিত্সাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। বামপন্থী এমপি বিজিতা হেরাত বলেন, রাজাপক্ষের সমর্থকদের মরিচ মেশানো পানির আক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা। স্পিকারের টেবিলে থাকা শক্ত মলাটের সংবিধান তুলে নিয়ে বিরোধী পক্ষ তার কপালে আঘাত করেছে। রাজাপাকসের দলের এক এমপি স্পিকার কারু জয়সুরিয়ার অবরুদ্ধ চেয়ারটিতে বসে পড়েন অধিবেশন শুরু করতে বিলম্ব হয়। পুলিশ তখন জয়সুরিয়ার জন্য আরেকটি চেয়ার নিয়ে এলে সেটিতেও তাকে বসতে বাধা দেন রাজাপাকসের সমর্থকরা। তবে রাজাপাকসের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকবেলা পার্লামেন্টের কর্মী ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করার কথা অস্বীকার করেছেন এবং পার্লামেন্টে অস্থিতিশীলতার জন্য স্পিকারকে দায়ী করেছে।

ইত্তেফাক/আরকেজি