শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতে শিখ বিরোধী দাঙ্গার দায়ে কংগ্রেস নেতার যাবজ্জীবন

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৩

১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গার ঘটনায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমারকে এবছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। বিবিসি, জিনিউজ।

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর রাজধানী জুড়ে শিখ বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। তাতে মৃত্য হয় প্রায় তিন হাজার শিখ ধর্মালম্বী মানুষের। এক শিখ পরিবারের পাঁচজনকে হত্যা করার অভিযোগ ছিল সজ্জনের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় নিম্ন আদালতে সম্প্রতি নির্দোষ বলে ঘোষণা করা হয় সজ্জনকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় দিল্লি হাইকোর্টে। ওই মামলার রায়েই যাবজ্জীবন হল কংগ্রেস নেতার।

ওই পাঁচ জনের মৃত্যুর মামলা ফের আদালতে ওঠার পর বিপাকে পড়ে যান সজ্জন। চাম কৌর নামে এক মহিলা আদালতে সাক্ষ্য দেন ঘটনার দিন সজ্জন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জনতাকে উত্তেজিত করেছিলেন। ওই মামলায় সজ্জন কুমারকে সনাক্ত করেন শীলা কৌর নামে আরও এক মহিলা।

আরও পড়ুনঃ যত্নের গাড়িতে ধাক্কা, কিশোরকে বেধড়ক পেটালেন পৌরমেয়র

মামলা চলাকালীন গত মার্চ মাসে দিল্লি হাইকোর্টে একটি সিডি জমা পড়ে। সেখানে এক ভিডিওতে দেখা যায় দাঙ্গায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন সজ্জন কুমার। গত ১৪ নভেম্বর শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্থ যশপাল সিং নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। দক্ষিণ দিল্লিতে ২ জন শিখকে খুনের অভিযোগ ছিল যশপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে। নরেশ কুমার নামে আরও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

উল্লেখ্য, সরকারি হিসেবে ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী ওই দাঙ্গায় দেশজুড়ে ২৮০০ শিখের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দিল্লিতেই খুন হন ২১০০ জন।

ইত্তেফাক/টিএস