বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিশ্বে শীর্ষ দশ ধনী নারী

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৫৬

বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় উঠে এসেছেন অনেক কম বয়সী নারী। তাদের মধ্যে অধিকাংশই পারিবারিক সূত্রে বিশাল সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়েছেন। আবার নিজের চেষ্টায় সেই সম্পদ বাড়িয়েছেন অনেকেই। ফ্যাশন ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন এমন কোটিপতি নারী। উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া বা নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান, সবখানেই সফলতার সঙ্গেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই নারীরা। এমনই কিছু নারী কোটিপতির তথ্য তুলে ধরা হলো। তথ্যসূত্র ইন্টারনেট।

হলি ব্র্যানসন: হলি ব্র্যানসন প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। পেশাগত জীবনে তিনি একজন নিউরোসার্জন। তার বাবা রিচার্ড ব্র্যান্সন একজন মার্কিন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। নিউরোসার্জনের ওপর পড়াশোনা শেষ করে তিনি চেলসিতে ওয়েস্টমিন্সটার নামক হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিত্সক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সাথেও যুক্ত রয়েছেন তিনি।

মারিয়ে বেসনিয়্যার: ফরাসি বংশোদ্ভূত মারিয়ে বেসনিয়্যার ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক মারিয়ে উত্তরাধিকার সূত্রে বিখ্যাত ডেইরি ফার্ম ল্যাকটালিস এর মালিক হন। তার বাবা মিশেল বেসনিয়্যার ১৯৫৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানির সিইও ছিলেন এবং তার পরে তার তিন সন্তান এই কোম্পানির মালিকানা লাভ করেন। চিজ উত্পাদনের মাধ্যমে এই কোম্পানি সমগ্র আমেরিকাতে পরিচিতি লাভ করে।

সারা সেবানচি: তুরস্কের অন্যতম ধনী সেবানচি পরিবারের উত্তরাধিকারী সারা সেবানচি প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। ২০১৬ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের দেওয়া এক তালিকায় দেখা যায় সারা নিজেই তুরস্কের ধনীদের মধ্যে ২৮তম অবস্থানে। তুরস্কের অন্যতম সেরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেবানচি হোল্ডিং, যার একজন অন্যতম কর্ণধার এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তিনি।

আনা লুসিয়া: ৪১ বছর বয়সী আনা প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের মালিক। তার দাদা ঈটাও নামে ব্রাজিলের অন্যতম বড় এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে ল্যাটিন আমেরিকার আরেকটি বিখ্যাত ব্যাংক ইউনিব্যাংকোর সাথে সমঝোতা এবং চুক্তিবদ্ধ হয়ে ঈটাও-ইউনিব্যাংকো নামে কাজ করে যাচ্ছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থসম্পত্তির প্রভাবে তিনি ব্রাজিলের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হিসেবে পরিচিত হন।

লি সিও হ্যুন: দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক লি সিও ৪১ বছর বয়সী এবং দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। ফরাসি শিল্প সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করার পর তিনি ব্যবস্থাপনার ওপরেও ট্রেনিং এবং ডিগ্রি লাভ করেন। লি শেইল নামক একটি কোম্পানির পরিচালক অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি স্যামসাং কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ক্ষমতাশীল নারী গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এরিন লডার: প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের মালিক এরিন লডার উত্তরাধিকার সূত্রেই বিশাল সম্পত্তির মালিক হন। তার বাবা অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত আছেন। এরিন পেনসিল্ভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পর পারিবারিক ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ ও গণমাধ্যমের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পাশাপাশি তিনি কসমেটিক, সুগন্ধী, আসবাবপত্রের ব্যবসা শুরু করেন যার নাম এরিন। বিশ্ববিখ্যাত কসমেটিক কোম্পানি এস্টি লডারের প্রায় ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের শেয়ার তার নিজের নামে বরাদ্দ রয়েছে।

তামারা এক্লেস্টন: ৩২ বছর বয়সী তামারা প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের মালিক। পেশাগত জীবনে তিনি একজন মিডিয়া প্রভাবক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তার বাবা বার্নি এক্লেস্টন ফর্মুলা ওয়না নামক বিখ্যাত কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক। এছাড়া তিনি ইতালির স্কাই স্পোর্টসসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানগুলোর উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করেন।

পেট্রা স্টান্ট: পেট্রা কোটিপতি বার্নি এক্লেস্টনের আরেক মেয়ে, অর্থাত্ তামারার বোন। বোন তামারার? মতো বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমগুলোতে পরিচিতির পাশাপাশি পেট্রা ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।

ডিলান লরেন: ডিজাইনার রালফ লরেনের মেয়ে ডিলান ব্যক্তিগতভাবে ৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক। বাবার ডিজাইনার ব্যবসার দিকে মন না দিয়ে তিনি আমেরিকার অন্যতম ক্যান্ডির প্রতিষ্ঠান ডিলানস ক্যান্ডি বার চালু করেন এবং ব্যাপক সাফল্য পান। বরাবরই তার পোশাকের থেকে ক্যান্ডির ব্যবসার প্রতি বেশি ভালবাসা ছিল।

আরও পড়ুন: ইয়াবা পাঁচারের নতুন রুট খুঁজছে মাদক সিন্ডিকেট

কাইলি জেনার: ২০১৮ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের শিরোনামে এই ২০ বছর বয়সী ধনী নারীর নাম ওঠে আসে। কিম কারদাশিয়ানের বোন কাইলি নিজ যোগ্যতায় উঠে আসেন আলোচনায়। কিমের নিজস্ব কোম্পানি কাইলির ৯০০ মিলিয়ন সম্পত্তির মাঝে তারও একটি বড় অংশ আছে।

ইত্তেফাক/আরকেজি