শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিজেপি হটাতে জোট গড়ে ভোটের ঘোষণা বিরোধীদের

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৬

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে হটাতে ভোটের আগেই জাতীয় স্তরে জোট গড়ছে বিরোধীরা। বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এক বৈঠকের পর বুধবার রাতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। শিগগিরই নিজেদের মধ্যে একটি অভিন্ন কর্মসূচি তৈরির ব্যাপারেও একমত হন তারা।
 
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দিল্লিতে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেসের নেতা শারদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মূখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেগু দেশম পার্টির নেতা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর মতো শীর্ষ নেতারা ওই বৈঠকে যোগ দেন। 

তারা একযোগে ঘোষণা করেন, জাতীয় স্তরে জোট তৈরি করেই ভোটে যাবেন। যার অর্থ, ভোটের আগেই জাতীয় স্তরে মহাজোট তৈরি হবে। 

সেই মহাজোট ক্ষমতায় এলে কী করবে, তার জন্য আগাম একটি অভিন্ন কর্মসূচিও তৈরি হবে। শারদ পাওয়ার জানিয়েছেন, এই কাজটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই এ নিয়ে ফের বৈঠকে বসবেন বিরোধী নেতারা। ২৬ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী অমরাবতীতে পরবর্তী বৈঠক হতে পারে। 

বৈঠকের পর ‘মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান তুলে মমতা বলেন, ‘আমরা জাতীয় স্তরে একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি তৈরি হবে। প্রাক্-নির্বাচনী জোট হবে।’

জোটের লক্ষ্য সম্পর্কে রাহুল বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোদী সরকার, বিজেপি এবং আরএসএসের হামলা থেকে রক্ষা করা।’ 

এ ছাড়াও প্রশ্ন, জাতীয় স্তরে জোট হলেই যে রাজ্যে আসন সমঝোতা হবে তেমন নিশ্চয়তা অবশ্য এখনো মেলেনি। যেমন, বৈঠকে এই প্রথম রাহুল ও কেজরিওয়াল একসঙ্গে এলেও দিল্লিতে কংগ্রেস-এএপি রফা হবে কি না, তা স্থির হয়নি। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গেও কংগ্রেস-তৃণমূলের জোটে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারাই বাধা। রাহুল নিজেই বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে রাজ্যে প্রতিযোগিতা করতেই পারি। দিল্লি ও বাংলায় কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’ 

মমতা অবশ্য আগেই বলে রেখেছেন, যেখানে যার শক্তি বেশি, সেখানে সেই দলই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। 

ইত্তেফাক/কেআই