শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নির্বাচনে গো-হারা হারলেন ভারতের প্রথম ‘গো কল্যাণ মন্ত্রী’

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৩১

ভারতের প্রথম ‘গরু কল্যাণ মন্ত্রণালয়’ বানিয়েছিলো রাজস্থান রাজ্যের কট্টরপন্থী বিজেপি সরকার। দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী ওটারাম দেওয়াসি। কিন্তু মঙ্গলবার প্রকাশিত রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ভোটে কার্যত গো-হারা হেরে গিয়েছেন তিনি। বিজেপির প্রার্থী ‘গরু মন্ত্রী’ দেওয়াসি পর্যুদস্ত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে, ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে। এনডিটিভি, আনন্দবাজার।

ওটারাম দেওয়াসি আগে ছিলেন রাজস্থানের পুলিশের কর্মকর্তা। কিন্তু শারীরিক কারণে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তবে পরে সুস্থ হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। বালি বিধানসভা কেন্দ্রের মুন্দারা গ্রামের বাসিন্দা দেওয়াসি ২০০৮ এবং ২০১৩ পর পর দু’বার রাজস্থানের সিরোহী থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।

সেই দেওয়াসিও এবার ভোটে হেরে গিয়েছেন তাঁর সিরোহীতে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নির্দল প্রার্থী সন্যম লোধা। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ২৭২ ভোট। দেওয়াসির বাক্সে পড়েছে ৭১ হাজার ১৯ ভোট। ব্যবধান ১০২৫৩ ভোটের।

আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে পিরামিডের চূড়ায় নগ্ন যুগলের কাণ্ড..(ভিডিও)

গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনি থেকে গরুমাংস বিক্রি বা খাওয়ার অভিযোগ মারধর, গণপিটুনির মতো ঘটনায় বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে রাজস্থান। অলওয়ারে দু’বার গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় ভারতজুড়ে আলোড়ন সৃষ্ট্রি হয়েছিল। তারপরও গরু নিয়ে রাজনীতি কমেনি। বরং গতবারের বিধানসভা নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা গঠনের সময় আস্ত একটি মন্ত্রণালয়ই বানিয়ে ফেলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ওটারাম দেওয়াসি।

সেই গরু-মন্ত্রীই হেরে যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে বিজেপির কট্টরপন্থী রাজনীতি। গোরক্ষার নামে তাণ্ডব, মারধর গণপিটুনি—এসব কারণে সাধারণ ভোটাররা পদ্ম শিবির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, এবং নির্বাচনে তারই প্রতিফলন হয়েছে বলেই মনে করছেন ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশ।

ইত্তেফাক/টিএস