ছবি
জোছনা নেই—জলসার আসরও নেই; বাতাসে
ছিটকে পড়া গজলের সুর ও তাল বেজে চলেছে
জলছোঁয়া শঙ্খচিলের ডানায়
আকাশের চেতনা ছুঁয়ে বয়ে চলা সে-সুরের পিঠে
নৈঃশব্দ্যের যাত্রী—
ঢেউ ঢেউ নদী নদী একগুচ্ছ লিরিক্যাল শব্দ।
ঝুলে আছে সঙ্গমোত্তর নীরবতা—ডানে
অনেকটা চাহিদারেখার মতো
ঠিক তার নিচে—যেখানে মাঠের মতো ছবি—
সেখানে মাতাল ঠোঁটের চুমু নিয়ে চোখে
এখনও সে ঘুমিয়ে—
দু’ পাশে বিছিয়ে আব-ই রওয়ানের মতো ডানা
সাদা ও নীল, নীল ও সাদা।
লোনা আলিঙ্গনে আবিষ্ট দুটি পায়ের উজ্জ্বল নগ্নতা ছুঁয়ে
নীলজল সুইমিং পুল...
চুমু মাখা চোখে সাড়া জাগিয়ে ঘুম তো ভাঙবেই;
প্রথমেই জোছনা-ধোওয়া স্নান
অতঃপর স্নানশেষে সে জড়িয়ে নেবে গায়ে
দুগ্ধ-ফেনায় ধোয়া—
মেঘের চুমকি আঁকা প্রভাতিরঙের জামা—
যারা ইতিহাসেরও অধিক পাঠক—তারা জানেন—
এই জামা পরেছিলেন আনারকলি
কোনো এক মোগল জোছনায়
একরাত অন্ধকার ঢেলে—মহামতি সম্রাটের চোখে!
খণ্ডাংশের সাফল্যে উজ্জ্বল আমাদের চোখ
যে-ই করে থাক ভাগ, খণ্ডাংশের সফলতায় উজ্জ্বল
আমাদের চোখ;
আমাদের রোদে এসে ধুলো দেয়
প্রতিপক্ষ রাত
প্রতিপক্ষ প্রভাতকে অন্ধ করে দিতে ঘুমহীন
রাতগুলো আমাদেরও;
আর হালখাতা হাতে নিয়ে সহাস্য যে ছবি
দ্যাখো—সেটা কিন্তু আমরা না—, তারাও না।
অথচ আহ্নিকগতির রথে আমরা সবাই
আকাশের রাজপথে
ঝড়ে-মেঘে-রৌদ্রে
বলাকার মন নিয়ে একদিন বহুদিন সহযাত্রী ছিলাম