নানামুখী সমস্যা ও প্রতিকূলতার পরও উখিয়ায় আমন ধানের উত্পাদন ভালো হয়েছে। মাঠের পর মাঠ পাকা আমন ধানে ভরে গেছে। আমনের উত্পাদন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নানা কারণে প্রায় ৫০০ একর জমি অনাবাদি রয়ে গেছে। পাহাড় কাটা মাটিতে খাল ভরে গেছে। গভীর নলকূপেও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না। তারপরেও আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উখিয়ার পাঁচ ইউনিয়নে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমন উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। তবে হাজিরপাড়া গ্রামের কৃষক হাজি মীর আহমদ অভিযোগ করে জানান, তার এলাকায় ধানে পাক ধরাকালে পোকার আক্রমণে অনেক ক্ষতি হয়েছে।
একইভাবে দক্ষিণ পুকুরিয়া গ্রামের শিক্ষক-কৃষক জানে আলম জানান, গুনগুনি পোকার আমক্রমণে তার এককানির মতো খেতের ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্যান্য ধান খেতে ওষুধ প্রয়োগ করার পর পোকা দমন করতে সক্ষম হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ ছিদ্দিকী বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে আমন ধানে পাক ধরেছে। এবার ধান গোলায় ভরা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।’