সংযুক্ত আরব আমিরাতে জ্বলন্ত ভবন থেকে এক শিশুর জীবন রক্ষা করে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি ফারুক ইসলাম নুরুল হক। তাকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে দেষটির আজমান সিভিল ডিফেন্স।
১৩ জানুয়ারি রাতে আরব আমিরাতে আজমান নুয়াইমিয়ায় এলাকায় তিনতলা একটি ভবনে আগুন লাগে। আগুনের ধোঁয়ায় পুরো বাড়ি ভরে যায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হতে থাকে বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় জানালা ছাড়া বের হওয়ার আর কোনও পথ নেই তাদের। এই সময় বাংলাদেশি ফারুক এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
শত লোকের ভিড়ের মধ্য থেকে দৌড়ে গিয়ে জ্বলন্ত ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার জানালা থেকে ফেলে দেওয়া তিন বছর বয়সী শিশুটি উদ্ধার করেন ফারুক। এ ঘটনার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রশাসন থেকে নিয়ে সাধারণের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
বাংলাদেশি ফারুক বলেন, আমি দূর থেকে দেখছি বিল্ডিংটি জ্বলছে। ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে পুরো বাড়ি। ধোঁয়ার মধ্য থেকে এক নারী তার সন্তানকে বাঁচাতে জানালা দিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না। সবাই তাকিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, বিষয়টা আমাকে নাড়া দেয়। আমি আর থাকতে পারলাম না। এগিয়ে গেলাম এবং দ্বিতীয়তলায় থাকা ওই নারীর দিকে তাকালাম। সেই নারীও আমার দিকে তাকালেন। তারপর চিৎকার করে বাচ্চাটিকে আমার হাতে ছেড়ে দিলেন। আমি বাচ্চাটিকে ধরে ফেলি।
আরো পড়ুন: হাইকোর্ট মাজারের সিন্দুক ভেঙে চুরির ভিডিও প্রকাশ
ওই নারীর স্বামী মোহাম্মাদ সাকিব বলেন, তার স্ত্রী রুবেনা বলল যে, সে দরজা দিয়ে বের হতে পারবে না। তার কষ্ট হচ্ছে। এমনকি সে বাচ্চাকেও ছাড়বে না। এসময় আগুন ও ঘন ধোঁয়া থেকে সন্তানকে বাঁচাতে চিন্তা করতে থাকে সে। এরপর দেখা যায় সে বাচ্চাকে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর তারা দুজন একটি পার্কিং করা গাড়ির ওপর লাফিয়ে পড়ে।
ওই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে আছেন। তবে তার ছেলে সুস্থ আছে। বলা হচ্ছে, বারান্দায় অবস্থিত একটি মেশিন থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ