শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রবীন্দ্রনাথের চিন্তার সঙ্গে আজকের উন্নয়ন সংক্রান্ত ভাবনার মিল রয়েছে: ড. আতিউর

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‌‘আজ আমরা টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি, রবীন্দ্রনাথ অনেক আগেই সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছেন। তিনিও তার লেখায় ও কাজের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, প্রকৃতি রক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গেছেন।’

শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম বিডিআই সম্মেলনের এক বিশেষ অধিবেশনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে এই বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করা হয়। ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় তার পক্ষ থেকে তার ভাগ্নি সম্মাননা গ্রহণ করেন।

ড. আতিউর আরও বলেন, ‘মানুষের সঙ্কট ও চাহিদার বৈশ্বিক দিক নিয়ে ভেবেছিলেন বলেই রবীন্দ্রনাথ আজও এতো প্রাসঙ্গিক। আজকের দিনের অনেক জটিল সমস্যাই একটি অন্যটির সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। তাই এসব সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদী কার্যকর সমাধানের জন্য পুরো পৃথিবী ও এখানে বসবাসকারী সব মানুষের কল্যাণকে কেন্দ্রীয় জায়গায় রেখে ভাবতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তায় ও কর্মে বহুলাংশেই টেকসই সমাধানের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। যেমন- তার শিক্ষা ভাবনায় সৃষ্টিশীলতা, সহানুভূতিশীতা, আকাঙ্খার উন্মেষ ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে। আজকের প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য এগুলো সত্যিই আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। উন্নয়নকে সংকীর্ণ জায়গা থেকে দেখা বা বিচার করার কুফল সম্পর্কেও তিনি বারবার আমাদের সতর্ক করেছেন তার লেখায়।’

বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অভিযাত্রাতে রবীন্দ্র ভাবনার অবদানের কথাও তুলে ধরেন ড. আতিউর। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সাম্য ও সমৃদ্ধির প্রতি যে সর্বব্যাপী আকাঙ্খা তৈরি হয়েছিলো সেই অনুপ্রেরণার জায়গা থেকেই এদেশের অনেক তরুণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আর এই অনুপ্রেরণা তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে রবীন্দ্র সাহিত্য।’

আরও পড়ুন: ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

ড. আতিউর এই মূল নিবন্ধ উপস্থাপন ছাড়াও এবারের বিডিআই সম্মেলনে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত বিষয়ক একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছেন এবং আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন। এছাড়া সম্মেলনের শেষ দিনে আজ শনিবার আরেকটি বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি বিষয়ে তার নিজের লেখাবইয়ের ওপর একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. আতিউর রহমান।

ইত্তেফাক/কেকে