বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জেনেভায় জাতীয় গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৯, ২০:৪৫

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হলো জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০১৯ এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ । সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ২৫শে মার্চ সোমবার রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এবং সেকেন্ড সেক্রেটারি বাকি বিল্লাহর উপস্থাপনায়  দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির আসন অলংক্রিত করেন বাংলাদেশ সরকারের  শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের  প্রতিমন্ত্রী  বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এম.পি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম উম্মুল হাসনা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে   রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন ইকনোমিক মিনিষ্টার সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর তৌফিক ইসলাম শাতিল। মহান স্বাধীনতা  ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর দেবপ্রিয় চক্রবর্তী এবং  প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর হেড অফ চেনচেলরি এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন করানো হয়।

জাতীয় গণহত্যা দিবস এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জেনেভা বাংলাদেশ ক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সুইজারল্যান্ডের সাবেক সভাপতি ও  সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের  বর্তমান সাধারন সম্পাদক শ্যামল খান। তিনি তার বক্তব্যে জাতীয় গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসে পরিনত করার জোর দাবি জানান। নুতন প্রজন্মকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানার  উপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি সচিব বেগম উম্মুল হাসনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার দেখা বিভিশিখাময় অমানবিক হত্যাযজ্ঞের বর্ননা তুলে ধরেন। 

প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের  শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের  প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকা ও আদর্শ ও বাস্তবায়নের উপর দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে জাতীয় গণহত্যা দিবস এবং  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন:  গ্রীসে গণহত্যা দিবস পালন

শেষে আবুবকর মোল্লার পরিচালনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার সহ বাংলার স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসীগণ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অরুন বরুয়া, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, সৈয়দ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ  ক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল জমাদার, সাবেক সভাপতি  আশরাফুল ইসলাম আজাদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের স্থির ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন সুইজারল্যাণ্ড আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিজাম উদ্দীন।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি