শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশ দূতাবাস এখন সময়ের দাবি

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৩৯

লাতিন আমেরিকার অতীব গুরুত্বপূর্ণ দেশ আর্জেন্টিনাতে যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠার জোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বুয়েনস আয়ার্স প্রবাসী বাংলাদেশিরা। 

স্থানীয় সফল ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলীম আল রাজি তালুকদার সম্প্রতি আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এবিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে তাঁর সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান দূতাবাস প্রতিষ্ঠায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।

বুয়েনস আয়ার্সের বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রিয়মুখ হাসান ইমাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই) সভাপতি আলীম আল রাজি তালুকদার, সহ-সভাপতি মারগারিতা পেকোরা, কামাল হোসেন, তারিকুল ইসলাম পলাশ, মেহেদী হাসান, নজরুল ইসলাম বকুল, বিএম শাহ আলম, মামুনুর রশিদ, বিএম রহিম, শামীমা তালুকদার রোমানা সহ স্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় গণসংবর্ধনার কার্যক্রম। 
বক্তারা বলেন, আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানে বছরে যে প্রায় ৬শ’ মিলিয়ন ইউএস ডলারের বাণিজ্য রয়েছে তার প্রায় সবটাই আর্জেন্টিনার অনুকুলে। বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে এবং আর্জেন্টিনার বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকা বাংলাদেশি পণ্যসামগ্রীর বিগ ভলিউম চালান নিশ্চিত করতে বুয়েনস আয়ার্সে পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হলে একদিকে যেমন এখানে বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশের রফতানি বানিজ্য, পাশাপাশি আর্জেন্টাইন আইটি ও এগ্রিকালচার সেক্টরসহ দক্ষিণের পাতাগোনিয়া অঞ্চলের সুবিশাল ফিশিং সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে বৈধ জনশক্তি রফতানির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে।

প্রসঙ্গত, ৭ বছর আগে তৎকালীণ পররাষ্ট্র সচিব মরহুম মিজারুল কায়েসের নেতৃত্বে ঢাকার পররাষ্ট্র, বানিজ্য, কৃষি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আর্জেন্টিনা সহ লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ সফর করে। সফরের উদ্দেশ্য ছিল এতদঞ্চলে বাংলাদেশের বাজার সম্প্রসারণ ও বৈধ জনশক্তি রফতানির বিষয়টি ত্বরান্বিত করা।

পরবর্তিতে ব্রাজিল ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হলেও গুরুত্ববহ ঐ ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন’-এর ফলোআপ না থাকায় ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির যুগেই রুদ্ধ হয়ে আছে অপার সম্ভাবনার দেশ আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের দুয়ার। 

ইত্তেফাক/এসআর