শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বর্ণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লন্ডনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৪৫

চিরায়ত বাংলার আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে রবিবার লন্ডনে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ বরণ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের উদ্যোগে এই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার উপস্থিতি বাংলাদেশ ভবনে 'এসো হে বৈশাখ' গানের মাধ্যমে বর্ণিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সারা বিশ্বে তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাঙ্গালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ভিত্তি করেই বাংলাদেশকে একটি ধর্ম-নিরপেক্ষ ও বৈষম্যহীন আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি সমৃদ্ধ ও সুস্থ্য সংস্কৃতি চর্চার দেশ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে'।

এ উপলক্ষে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিল্পী এস. এম. আসাদ উল্লার একক চিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানস্থলটি সাজানো হয়েছিলো বাংলার ঐতিহ্যবাহী নকশা, মুখোশ, পোষ্টার ও ফেস্টুন দিয়ে। ছোটমনিদের বিনোদনের জন্যও ছিলো বিশেষ ধরনের খেলা-ধুলার ব্যবস্থা। বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী বর্ণীল সাজে নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরারও বড়দের পাশাপাশি অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পহেলা বৈশাখের বরণ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে। 

আরও পড়ুন:  ঘিওরে আসবাপত্র সরাতে গিয়ে প্রাণ ফেল গৃহবধূর

বর্ষবরণের একদিকে ছিল বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীদের পরিবেশিত গান ও কবিতা আবৃত্তি। অন্যদিকে ছিল পিঠা-পুলি, ঝাল মুড়ি, চটপটি, পান্তাভাত, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, মাছ ভাজি ও খিচুরিসহ  বাঙ্গালির চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী খাবারের সমারোহ। লাল-সাদা পাঞ্জাবিতে পুরুষ এবং লাল-সাদা শাড়িতে মহিলা অতিথিরা অনুষ্ঠানটিকে করে তুলেছিলেন আরো বর্ণাঢ্য । তারা গান, কবিতা ও ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রাণভরে উপভোগ করেন এবং এ ধরনের একটি চমৎকার বর্ষবরণ উৎসব আয়োজনের জন্য হাইকমিশনারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। অভ্যাগত অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফসহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট বাঙ্গালিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি