শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দুবাই ও উত্তর আমিরাতে পাসপোর্ট জটিলতায় ৭৮৫ বাংলাদেশি

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৭

পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ডেমগ্রাফিতে আটকে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশির ভাগ্য। আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মুহাম্মদ ইমরানের অনুরোধে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য চলতি সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ একমাস বাড়ানো হলেও এ সময়ে পাসপোর্ট হাতে পায়নি তারা। 

 

দুবাই ও উত্তর আমিরাত কনস্যুলেটের অধীনে আবেদন করা ৭৮৫ পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য দেশে আটকে থাকার কথা স্বীকার করেন কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসাইন খান। চলতি সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। সে হিসেবে আগামী  ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পাসপোর্টগুলো পাওয়া না গেলে এসব অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হবার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। উল্টো ওই সব প্রবাসীদের ভাগ্যে নেমে আসবে নির্মম হতাশা।  

 

বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাত অফিসে ভেরিফিকেশন বা এসবি রিপোর্টের জন্য আটকা পড়েছে ৭৮৫ জনের পাসপোর্ট। আর এই সব ভূক্তভুগীরা কোনো উপায় না পেয়ে দুবাই কন্স্যুলেটে অফিসে ধরনা দিচ্ছে প্রতিদিন। 

 

বৃহস্পতিবার রাতে এই ব্যাপারে দুবাইতে নিয়োজিত বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্স্যাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কাছে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে যাচ্ছি সমস্যা সমাধান করার জন্য। 

 

যেই সব জেলার ব্যক্তিরা পাসপোর্টের আগ্রহ নিয়ে দিন গুনছে এবং পুলিশ বা এসবি ভেরিফিকেশনে আটকা পডে আছে নিচে দেওয়া হলো। বাগেরহাটের দুইজন, বান্দরবানের একজন, বরগুনার তিনজন, বরিশালের ৯ জন, ভোলার একজন, বগুড়ার একজন, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ২২ জন, চাঁন্দপুরের ৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ জন, চট্রগ্রামের ১৭৩ জন, চুয়াডাঙ্গা ৮ জন, কক্সবাজারের ৬৪ জন, কুমিল্লার ১৪৭ জন, ঢাকার ২৬ জন, দিনাজপুরের একজন , ফরিদপুরের ছয়জন, ফেনীর ১২ জন, গাইবান্ধার একজন, গাজীপুরের ১৫ জন, গোপালগঞ্জের তিনজন, হবিগঞ্জের ৪১ জন, যশোরের ছয়জন, ঝালকাঠির দুইজন, ঝিনাইদহের তিনজন, জয়পুরহাটের একজন, খুলনার দুইজন, কিশোরগঞ্জের ছয়জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, লক্ষ্মীপুরের ২৭ জন, মাদারীপুরের একজন, মাগুরার একজন, মানিকগঞ্জের ১৪ জন, মেহেরপুরের একজন, মৌলভীবাজারের ২৪ জন, মুন্সীগঞ্জের পাঁচজন, ময়মনসিংহের ১৬ জন, নাটোরের দুইজন, নোয়াখালীর ১৫ জন, পটুয়াখালীর পাঁচজন, রাজশাহীর দুইজন, শরিয়তপুরের ছয়জন, শেরপুরের দুইজন, সিলেটের ৪০ জন, সুনামগঞ্জের  ৮ জন এবং টাঙ্গাইলের দুইজন।

 

আগামীকাল ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এইসব পাসপোর্ট তারা হাতে না পেলে আমিরাত সরকার ঘোষিত গত ১ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে শত শত বাংলাদেশি। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

 

 

ইত্তেফাক/ইউবি