মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে ঈদুল ফিতর উদযাপন

আপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ০২:১৪

ইস্তাম্বুল ও তার পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল -এর উদ্যোগে (বৃহস্পতিবার) ৪ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে, মিশনকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়, যা অতিথিদের মাঝে আনন্দ ও উৎসবের আমেজ বাড়িয়ে দেয়। মিশন কর্তৃক আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের সুখী ও সমৃদ্ধ ঈদ কামনা করেন। দেশ ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশির মাঝে ঈদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ুক, তিনি এই কামনাও করেন। তিনি উক্ত অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় ও গভীর হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন যে, পরবর্তী দুই বছর (২০২০-২০২১) সাল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ′ভাব-মূর্তি সমূজ্জ্বলকরণে′ এবং ′বাংলাদেশ ব্রান্ডিংকরণে′  খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবমুখর পরিবেশে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উৎযাপন করতে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে ড. ইসলাম সংক্ষিপ্তভাবে ইস্তাম্বুল ও তার পার্শ্ববর্তী শহরে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং এ মর্মে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আন্তরিক সহযোগিতা আশা করেন। তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্ব, ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করে, তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি, পদক্ষেপ ও কর্মসূচি তুলে ধরেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কনস্যুলেটের দূতালয় প্রধান ও কনসাল বিদোষ চন্দ্র বর্মন তুরস্কে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায়, বিশেষত বাণিজ্য, অর্থনীতি, শিক্ষা ও জন-যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সাম্প্রতিক কালে মিশন কর্তৃক গৃহীত কর্মকাণ্ডের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। মিশনের কনস্যুলার সেবা দ্রুততর ও আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ও কার্যকরকরণের লক্ষ্যে সার্বিক সেবা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে মিশনের উদ্যোগ ও কার্যক্রম সম্পর্কেও তিনি আলোকপাত করেন।
ঈদ অভিজ্ঞতা ও মত-বিনিময় পর্বে, অতিথিবৃন্দ তুরস্কে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার ক্ষেত্রে মিশনের প্রচেষ্টা ও কর্মপন্থার ভূয়সি প্রশংসা করেন। তাঁরা ইস্তাম্বুল ও তার পার্শ্ববর্তী শহরসমূহে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাসও ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদেরকে ঈদ উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

ইত্তেফাক/আরকেজি