বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিউইয়র্কে কেসি মংয়ের একক চিত্র প্রদশর্নী

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:১৮

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী কেসি মং-এর সপ্তাহব্যাপী একক চিত্র প্রদর্শনী ‘ফ্যাসেটস অব ফিলিং’। স্বল্পভাষী রঙতুলির কারিগর হিসাবে প্রবাসে পরিচিত শিল্পী মংয়ের এটি দ্বিতীয় একক আয়োজন। স্থানীয় সময় শনিবার বিকাল থেকে নিউইয়র্কের উডসাইডের নোঙর গ্যালারিতে শুরু হওয়া এ চিত্র প্রদশর্নীর উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, লেখক, গীতিকার, নাট্যকার, শিল্প-সমালোচক ও প্রাবন্ধিক এমদাদুল হক মো. মতলুব আলী।

নোঙর গ্যালারির সিইও ও সংস্কৃতিকর্মী জাহেদ শরীফের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘বাঙালী’ সম্পাদক কৌশিক আহমেদ এবং সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ সাঈদ-উর-রব। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চিত্রশিল্পী কেসি মং।

উদ্বোধক মতলুব আলী বলেন, কেসি মং একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। তার রঙতুলিতে অনেক বৈচিত্র রয়েছে। তিনি বলেন, একজন শিল্পী যদি ভালো কাজ করে যান, তিনি মরে গেলেও সেই কাজগুলো রয়ে যাবে। তিনি শিল্পী মংয়ের সাফল্য কামনা করে বলেন, মং তার কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিল্পী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় এগিয়ে যাবেন। সপ্তাহব্যাপী এ চিত্র প্রদশর্নী সদ্য প্রয়াত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকারের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রয়াত এই শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

উপকূলীয় কক্সবাজার জেলার অধীন মহেশখালী উপজেলার আদিনাথের পাহাড়। ধর্মীয় কারণে সুদীর্ঘকাল থেকে প্রসিদ্ধ, হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে একটি অন্যতম পবিত্রতম মন্দির এবং পর্যটকদের কাছেও সমানভাবে খ্যাতি অর্জন করেছে এই স্থানটি। এই আদিনাথ মন্দিরের পাহাড় ঘেষা গ্রামের রাখাইন পরিবারে জন্ম নেয়া ছেলেটি আজকের চিত্রশিল্পী কেসি মং। বাবা উক্য, মা আথোনের দ্বিতীয় সন্তান তিনি।

ছোটবেলা থেকেই রঙ ও তুলির প্রতি আকর্ষিত মং স্কুলের শিক্ষকদের নজরে আসেন আঁকাঝোকার প্রতি অনুরাগের কারণে। খুব অল্প সময়েই রঙতুলি হয়ে উঠে মংয়ের প্রিয়সঙ্গী। বন্ধুরা যখন শৈশব কৈশোরের দুরন্তপনায় মগ্ন মং তখন রঙের আর তুলির নেশায় পাগল। নানা ধাপ অতিক্রম করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে এমএফ করা এই যুবক আটলান্টিক পাড়ি দেন ২০১০ সালে। বসতি গড়েন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।

ইত্তেফাক/আরকেজি