যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামে মহান শহীদ দিবস ও অন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ পালন করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটি এবার শুক্রবার হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যা দু’টি পর্বে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, ১ মিনিট নিরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠসহ দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় কবিতা আবৃতি সমবেত সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্স মো. আলী মহসীন রেজা। দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং ভিয়েতনামের নাগরিক ও বিদেশী অতিথিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্স সমবেত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন । বক্তব্যের শুরুতে তিনি ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও সকল ভাষা সৈনিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বদানকারী ও এ কারণে তার কারাবরণের কথা বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন।
ইউনেস্কো কর্তৃক মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অফিস-আদালত, কোট-কাচারী সকল ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সকল বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান।
একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির নিমিত্ত প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই বোনকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাদের মূল্যবান অবদান রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রেরণ পূর্বক সরকার প্রদত্ত প্রনদানা গ্রহণ করার জন্যও অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে ভাষা শহীদদের উপর নির্মিত ১টি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও বাংলাদেশী খাবার আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
ইত্তেফাক/বিএএফ