বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনার আতঙ্কে কাঁদলেন তসলিমা নাসরিন!

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২০, ১২:১১

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে করোনার ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে তার চোখ দিয়ে পানিও গড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন লেখিকা। স্ট্যাটাসের সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।

তসলিমা বলেন, কত নতুন তথ্য পাচ্ছি। কাচ, স্টিল ও প্লাস্টিকে করোনা ভাইরাস ৯ দিন থাকে। বাতাসেও বেঁচে থাকে। কাগজেও থাকে, কাপড়েও থাকে। শুধু কপারে থাকে কম, ৪ ঘণ্টা। করোনা (SARS-CoV-2) আক্রান্ত কেউ একবার কাশলেই তার মুখ থেকে ৩০০০ ড্রপলেটস বেরিয়ে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে, ছোট ড্রপলেটস বাতাসে ভাসে। ওই ৩০০০-এর প্রতিটি থেকে আমরা আক্রান্ত হতে পারি।

‘সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো– করোনা আক্রান্ত সবার কাশি ও জ্বর থাকে না। দিব্যি সুস্থ দেখতে, আসলে কিন্তু তার ভেতরে গিজ গিজ করছে এই ভাইরাস। করোনা ভাইরাস ভেতরে নিয়ে কেউ কথা বলছে তোমার সামনে, তোমার নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে পড়ছে ভাইরাস। সে যেসব জায়গায় স্পর্শ করেছে, সেসব জায়গায় স্পর্শ করলে হাতে চলে আসবে ভাইরাস।’

আরও পড়ুন: বয়স-লিঙ্গ ভুল, কণিকার করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন

বিতর্কিত এ লেখিকা আরও বলেন, ভাইরাস তার শরীরে, অথচ কোনো উপসর্গ শুরু হয়নি, অন্যকে যে আক্রান্ত করার ক্ষমতা তার আছে, সে নিজেও জানে না। এ কারণেই এ ভাইরাস বিশ্বময় এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। জানি না এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে পরাজিত করার ক্ষমতা মানুষের আছে কিনা। হয়তো নেই, হয়তো আমাদের সবাইকে ধরবে এ ভাইরাস।

তসলিমা বলেন, বিকাল ৫টায় বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। সারা পাড়ার মানুষ যার যার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থালা কাঁসর-ঘণ্টা শঙ্খ যা পাচ্ছে, বাজাচ্ছে সেই ডাক্তার ও নার্সদের উদ্দেশ্যে, যারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ করছেন। সম্মিলিত শঙ্খধ্বনি যখন রেকর্ড করছিলাম মোবাইলে, মৃত্যুর সামনে দাঁড়ানো বিপন্ন জনমানুষের আর্তনাদের মতো শোনাচ্ছিল চারদিকের ওই শব্দ। আমার চোখ থেকে তখন টপ টপ ঝরে পড়ছিল জল। অনেকক্ষণ।

ইত্তেফাক/বিএএফ